শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ভ্যাটের হার ৭ শতাংশ চায় এফবিসিসিআই

৯ প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দিল এনবিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক

মূল্য সংযোজন কর-মূসক বা ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ী- শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন-এফবিসিসিআই। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এই দাবি জানান এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। তিনি ভ্যাটের আওতা বাড়াতে হার কমানোর দাবি জানিয়ে বলেন, ভ্যাটের  আওতা বাড়াতে আমরা কাজ করছি। তবে আওতা বাড়াতে হলে হার কমিয়ে আনতেই হবে। এতে ভ্যাট দিতে উৎসাহিত হবেন ভোক্তা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এ ছাড়া বক্তব্য দেন এনবিআর সদস্য (মূসক নীতি) আবদুল মান্নান শিকদার প্রমুখ।  অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ের ২০১৯-২০ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী ৯টি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- উৎপাদন খাতের পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড ও ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড।

ব্যবসা খাতের হ্যামকো করপোরেশন লিমিটেড, সিমেন্স বাংলাদেশ লিমিটেড ও ইউনিমার্ট লিমিটেড এবং সেবা খাতের সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড, কাতার এয়ারওয়েজ গ্রুপ (কিউসিএসসি) ও চিটাগাং ওয়্যারহাউসেস লিমিটেড।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, করোনার মধ্যেও রাজস্ব আহরণের প্রবৃদ্ধি ঈর্ষণীয়। ট্যুরিজম, পরিবহনসহ অনেক খাতে স্থবিরতা সত্ত্বেও আমরা ভালো করছি। ভ্যাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অটোমেশন প্রক্রিয়া চলমান আছে। পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন হলে ভ্যাট প্রদান সহজ হবে। ফলে আদায় অনেক বাড়বে।

এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে তুলনা করলে আমাদের জিডিপি হার যথেষ্ট দুর্বল। বিশ্বের গড় জিডিপি হার প্রায় ১৫ শতাংশ হলেও আমাদের গড় জিডিপি হার মাত্র ১০ শতাংশের কাছাকাছি। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দেশের শিল্পায়নের জন্য ব্যবসায়ীদের যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।

তিনি করপোরেট কর হার কমানোর অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এখন প্রায় সব পর্যায়ে ডিজিটাল সংযোজনের ফলে রাজস্ব আহরণের আওতা বাড়ানো হচ্ছে। এভাবে আওতা বাড়ানো গেলে করপোরেট করসহ সব কর হার কমিয়ে আনতে হবে।

এনবিআর সদস্য (মূসক নীতি) আবদুল মান্নান শিকদার বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে অনলাইনে মাসিক ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত প্রায় ৭৪ হাজার রিটার্ন অনলাইনে জমা পড়েছে। তবে যারা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে সক্ষম হচ্ছেন না, তাদের জন্য সনাতনী ব্যবস্থায় রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা থাকছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর