সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

খুলনায় নতুন কৌশলে মাদক ব্যবসা

সীমিত জনবল নিয়ে মাদক নির্মূল চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ছে

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

পুলিশের নানা অভিযানের মধ্যেও খুলনায় মাদকের রমরমা ব্যবসা চলছে। প্রতিনিয়ত নতুন কৌশলে মাদক পাচার করছে ব্যবসায়ীরা। মিনি ট্রাকের নিচে পাটাতনে বহন, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি বা বোতলজাত পানি বিক্রেতার সাজে, মোটরসাইকেলে প্রেস স্টিকার লাগিয়ে, স্কুল-কলেজের ইউনিফর্ম ও ভ্রাম্যমাণ হকার সেজেও মাদক পাচার চলছে। গত কয়েক দিনে পুলিশের অভিযানে নানা কৌশলে মাদক পাচারের এসব ঘটনা ধরা পড়ে। অভিযানে কোনো রুটে মাদকের চালান ধরা পড়লে পরের দিন নতুনভাবে পাচারের পরিকল্পনা করা হয়। এতে মাদক পাচার পুরোপুরি বন্ধ করা যায় না বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। জানা যায়, করোনার সময়ে মাদকবিরোধী অভিযান কিছুটা ঝিমিয়ে পড়লে সে সুযোগকে কাজে লাগাতে মাদক ব্যবসার জাল বিস্তার করেছে পাচারকারীরা। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এলাকাভিত্তিক গ্রুপ তৈরি করে মাদক বিক্রিতে জড়িয়ে পড়েছে তরুণ-যুবকরা। গত এক মাসে মাদকদ্রব্য পাচার ও বিক্রির ৩৪টি ঘটনায় মামলা করেছে খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। তবে কর্মকর্তারা জানান, সীমিত সংখ্যক জনবল দিয়ে মাদক নির্মূল সম্ভব হচ্ছে না। জানা যায়, খুলনা জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে পরিদর্শক, উপ-পরিদর্শক মিলিয়ে মোট ৮টি পদ রয়েছে। যা দিয়ে বিশাল মহানগর ও জেলার ৯টি উপজেলায় নিয়মিত মাদক নিয়ন্ত্রণ অভিযান পরিচালনা করা যায় না। ফলে বার্মাশীল রোড, সাতরাস্তার মোড়, ঘাট এলাকা, হেলাতলা, নতুনবাজার, শিল্প ব্যাংকের পেছনে বস্তি, শেখপাড়া খলিল চেম্বার মোড় ও রেশন দোকানের গলি, গল্লামারী, রেলিগেট, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবাধে ইয়াবা-ফেনসিডিল বিক্রি হচ্ছে। অনেক সময় প্রশাসনের অসাধু ব্যক্তির সঙ্গে অনৈতিক সখ্যতায় বেপরোয়াভাবে মাদক ব্যবসা চলছে।

খুলনা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. রাকিবুজ্জামান বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমেও মাদক বিক্রেতাদের সাজা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা পাচারের নতুন কৌশল নিয়ে মাঠে নামছে। সীমিত জনবল নিয়ে যা মোকাবিলা করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ে। তারপরও মাদক নির্মূলে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

সর্বশেষ খবর