মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

চাঁদাবাজির নতুন স্টাইল চট্টগ্রামে

টাকার বদলে অতিরিক্ত দামে সরবরাহ করা হয় ইট বালু রড

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

চাঁদাবাজির নতুন স্টাইল চট্টগ্রামে

চট্টগ্রাম নগরে চালু হয়েছে চাঁদাবাজির নতুন স্টাইল। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, দোকান, বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে নগদ টাকা গ্রহণের পরিবর্তে অতিরিক্ত দামে ইট, বালুসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য কিনতে বাধ্য করছে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ গ্রুপগুলো। নগরের বিভিন্ন এলাকায় নতুন স্টাইলের চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ। যদিও সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নগরবাসীর প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে এ ধরনের আচরণের শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে যেন নিকটস্থ থানা পুলিশের সহায়তা নেন।’  জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজির ধরনের স্টাইল পরিবর্তন করেছে সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজ গ্রুপগুলো। তারা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ চাঁদা গ্রহণ না করে অভিনব কায়দায় চাঁদা আদায় করছে। বিশেষ করে তাদের টাগের্টে থাকে নির্মাণাধীন ভবন ও জায়গা মালিক। সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ গ্রুপগুলো শুরুতে নিজেদের অনুসারীদের নির্মাণাধীন ভবনের মালিকের কাছে চাঁদার জন্য পাঠায়। মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে কাজ বন্ধ করে দেয়। এরপর মুরব্বি সেজে ভবন মালিককে রক্ষার জন্য যায় গ্রুপ নেতা। ছোটভাইদের থামিয়ে সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ইট, বালু এবং সিমেন্ট কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ভবন মালিককে নির্ধারিত বাজার মূল্যের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ইট বালু, সিমেন্ট এবং রড কিনতে বাধ্য করা হয়। অভিনব এ চাঁদাবাজি থেকে রক্ষা পাচ্ছে না হোটেল, রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরাও। নির্ধারিত বাজার মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে মুরগি, ডিম, মাছ, মাংস এবং কাঁচাবাজার কিনতে হচ্ছে হোটেল ব্যবসায়ীদের। শুধু তাই নয়, অভিনব এ চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে কোচিং সেন্টার, বেসরকারি হাসপাতালসহ নগরের নানা প্রতিষ্ঠান। নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে সক্রিয় রয়েছে কমপক্ষে ৫০টি গ্রুপ। এদের মধ্যে রয়েছে নগরীর চকবাজার এলাকার সাদ্দাম হোসেন ইভান, নাঈমুল হোসেন তুষার, মিসকাত খোকা, ভাগিনা সাকিব, সৌরভ উদ্দিন ওরফে গুলি বাপ্পা, মিনহাজ উদ্দিন ওরফে ডাকাত মুরাদ, পাঁচলাইশ এলাকার হৃদয় বড়–য়া, ফরহানুল হক রাকিব, আওয়াজ ভুইয়া রণক, ফিরোজ ওরফে ডাকাত ফিরো, নাছির উদ্দিন ওরফে লম্বা নাছির, নেওয়াজ শরীফ ওরফে কিরিচ নেওয়াজ, আবদুল হালিম ওরফে লম্বা আশিক, শাহাদাত হোসেন ওরফে লেংড়া রিফাত, ধাকা জুয়েল, বাটি রাশেদ অন্যতম। নগরের চকবাজার এলাকায় অভিনব চাঁদাবাজির শিকার কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘সন্ত্রাসীগুলো এখন নগদ চাঁদা নেয় না। বরং তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দামে মুরগি, ডিম, মাছ, মাংস কিনতে হয়। যদি কোনো ব্যবসায়ী তাদের কথা মতো অতিরিক্ত দামে এসব জিনিস না কেনেন তাহলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হন।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর