মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে করোনায় চিকিৎসকের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) কভিড শনাক্তকরণ মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরটি-পিসিআর ল্যাবে কর্মরত ডা. মোহাম্মদ হাসান মুরাদ (৪৬) মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ভোরে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ডা. মুরাদ চমেকের ৩৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি সাতকানিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মওলাপাড়ার নুরু মাস্টারবাড়ির আবদুল মোনাফের সন্তান। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৪ চিকিৎসকের মৃত্যু হলো। চমেক মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম বলেন, চমেকের আরটি-পিসিআর ল্যাবে দায়িত্বরত ছিলেন ডা. হাসান মুরাদ। এ ছাড়া তিনি মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রভাষক ছিলেন।

করোনা আক্রান্ত হলে পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, ডা. মুরাদ চমেক মাইক্রোবায়োলজি কভিড শনাক্তকরণ ল্যাবে শুরু থেকেই কাজ করে আসছিলেন। সেখানে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। প্রথমে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও পরে কভিড জীবাণু তাঁর মস্তিষ্কের কোষে বাসা বাঁধে। ফলে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।

চিকিৎসকরা জানান, আরটি-পিসিআর ল্যাবে কাজ করতে গিয়ে কভিড আক্রান্ত হন তিনি। প্রথমে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও কভিড জীবাণু তাঁর মস্তিষ্কের কোষে বাসা বাঁধে। ফলে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। করোনা পজিটিভ নিয়ে তিনি পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির পর থেকে ডা. হাসান মুরাদের অক্সিজেনের মাত্রা খুব কম ছিল। হাইফ্লো নজল ক্যানোলা দিয়ে তাঁর অক্সিজেন মাত্রা ঠিক রাখার চেষ্টা করা হয়। ভর্তির চার-পাঁচ দিনের মাথায় তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

পরিবারের সদস্যরা জানান, ডা. হাসান মুরাদের বড় কোনো অসুখ ছিল না। আইসিইউতে প্রতিদিন তাঁকে ১২ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন দেওয়া হতো। রবিবার দুপুরের পর থেকে অক্সিজেনের মাত্রা আরও কমে যায়। তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। রবিবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে তিনি মারা যান।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর