বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করছে

-ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করছে

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে উন্নয়নের কথা বলে সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। সুষ্ঠু গণতন্ত্র না থাকায় নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার পাশাপাশি দেশের পার্লামেন্টও অকেজো হয়ে গেছে। আমাদের স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে গতকাল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বিএনপির ‘স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী-২০২১’ উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ১৫টি বিষয়ভিত্তিক কমিটি ও ১০টি বিভাগীয় কমিটির নাম ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালামও উপস্থিত ছিলেন।

 বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত কয়েক বছর ধরে স্বাধীনতার চেতনাকে বিলুপ্ত করে দেশকে একদলীয় শাসনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে এ সরকার। যা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনার সম্পূর্ণ বিপরীত। আজকে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আমাদের সীমান্তে নাগরিকরা নিহত হচ্ছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে। আমাদের দেশে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা শরণার্থী হয়ে প্রবেশ করেছে- তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য সরকারের কোনো ধরনের উদ্যোগ নেই।

গত সোমবার ইউএনডিপি প্রকাশিত মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার আজ নিজেদের উন্নয়নের একটা রোল মডেল বলে দাবি করছে। অথচ আজকের পত্র-পত্রিকায় ইউএনডিপির প্রকাশিত প্রতিবেদনে গোটা এশিয়াতে কী অবস্থান, কোন কোন দেশ কী অবস্থায় আছে তা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়াতে পঞ্চম। অর্থাৎ ভুটানেরও নিচে। এতেই বোঝা যায় যে, সরকারের পক্ষ থেকে যে উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে- সেটা আসলে কী? এটা পুরোপুরিভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা মাত্র। আসলে তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে- জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকা। 

তিনি বলেন, আজকে সর্বক্ষেত্রেই সরকার স্বাধীনতার সব চেতনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে দলীয়করণ করে নষ্ট করেছে। তারা অর্থনীতিকে একটা লুটপাটের অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। তারা পার্লামেন্টকে পুরোপুরি একটা অকেজো পার্লামেন্টে পরিণত করেছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিয়েছে। যার ফলে বিশিষ্ট নাগরিকরা তাদের বক্তব্যে বলেছেন যে, এই নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।

ফখরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধে যারা প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন তাদের আজ ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা যে মূল চেতনায় সংগ্রাম করেছি, লড়াই করেছি, যুদ্ধ করেছি, প্রাণ দিয়েছি এবং আমাদের লাখ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন, মা-বোনেরা সম্ভ্রম হারিয়েছেন। সেই গণতান্ত্রিক চেতনাকে ফিরিয়ে আনাসহ গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করাই আমাদের আজকের এই রজতজয়ন্তী পালনের উদ্দেশ্য।

 

সর্বশেষ খবর