কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও অ্যাগ্রো-প্রসেসিংয়ে বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারিভাবে ভারতকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে যাচ্ছে। সরকার এ বছর ২০০ কোটি টাকার মাধ্যমে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদের কম্বাইন্ড হারভেস্টার, রিপারসহ কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে। এ ছাড়াও, ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে যার মাধ্যমে প্রায় ৫১ হাজার কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হবে। কৃষি খাতে ভারত-বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে দুই দেশের ডিজিটাল কনফারেন্স গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) যৌথভাবে এ কনফারেন্সের আয়োজন করে। ভারতের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেন, ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশেই ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ কৃষিতে সম্পৃক্ত। ভারত বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, ফুড প্রসেসিং ও ফিশ-অ্যাকুয়াকালচার এই ৩টি খাতে অধিক গুরুত্বসহ কৃষির সব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ও সহযোগিতা করতে আগ্রহী। ফুড প্রসেসিংয়ে একসঙ্গে কাজ করলে বৈশ্বিক খাদ্য বাজার এই দুই দেশের নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলেও তিনি আশা করেন। বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের ওপর আরোপিত অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্কের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, এসব পদক্ষেপের কারণে আমাদের রপ্তানি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি তা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান। এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, বাংলাদেশের বেসরকারি খাত প্রতি বছর ভারত থেকে কয়েক শ কোটি ডলার পণ্য আনে, যা আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য আনতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।
ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, টাটা স্টিলের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক টি ভি নরেন্দ্রন, মাহিন্দ্রর সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক পবন গোয়েঙ্কা, সিআইআইয়ের মহাপরিচালক চন্দ্রজিৎ ব্যানার্জি, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক সুজিব রঞ্জন দাশ প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ সময় কৃষি সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং দুই দেশের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
