শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বসুন্ধরা পেপার মিলস এজিএমে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের শীর্ষ শিল্পোদ্যোক্তা পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ১০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন হয়েছে। এতে বিগত ২০১৯-২০২০ সালের কোম্পানির পরিচালকম-লীর বিবরণী, নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব বিবরণী ও প্রতিবেদনসমূহ অনুমোদন হয়। ২০১৯-২০২০ আর্থিক বছরে কোম্পানির উদ্যোক্তা, পরিচালক ও প্রাক-গণপ্রস্তাবে অংশগ্রহণকারী শেয়ারহোল্ডাররা ছাড়া সব সাধারণ শেয়ারহোল্ডারের জন্য ১০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। শেয়ারহোল্ডাররা কভিড-১৯ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আলোচ্য বছরের নগদ লভ্যাংশ প্রদানের ঘোষণাকে কোম্পানির সাফল্যের ইতিবাচক প্রতিফলন বলে মন্তব্য করে সন্তোষ প্রকাশ

করেন।  গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ‘বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা’ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কোম্পানির ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা ও বিকল্প পরিচালক এ আর রশীদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন নিরপেক্ষ পরিচালক খাজা আহমেদুর রহমান, পরিচালক মো. ইমরুল হাসান, মো. নাজমুল আলম ভূঁইয়া, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান এফসিএ, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মির্জা মুজাহিদুল ইসলাম, বিভাগীয় প্রধান (অর্থ ও হিসাব) মো. কামরুল হাসান ও কোম্পানি সচিব এম মাজেদুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিধিবদ্ধ নিরীক্ষক প্রমুখ। এ সময় উল্লেখযোগ্য-সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার এই বার্ষিক সাধারণ সভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি এ আর রশীদ বলেন, ‘বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড এ দেশের কাগজ ও কাগজজাত পণ্যনির্ভর খাতের প্রায় ৩০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যেও ধরে রেখেছে। বসুন্ধরা পেপার মিলের পণ্য ও কাগজের মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এবং তা বিশ্বের ৩০টি দেশে রপ্তানি হয়। আমাদের দেশে টিস্যু ও হাইজিন পণ্য ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে আমরা সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপ ও উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। দেশে বর্তমান টিস্যু পণ্যগুলোর বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৩৬ হাজার টন। এ ক্ষেত্রে বসুন্ধরা পেপার মিলের অবদান মোট চাহিদার প্রায় ৭৫ শতাংশ।’ তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করছে, যা দেশের অন্যান্য শিল্পের মতো কাগজশিল্পেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। কাগজশিল্পের চূড়ান্ত চাহিদার মৌসুমে দেশব্যাপী তথা বিশ্বব্যাপী লকডাউনের ব্যাপক প্রভাব এই কোম্পানিতেও পড়েছে। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় কাগজের বিক্রির হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। কিন্তু অক্লান্ত পরিশ্রম, দক্ষ ব্যবস্থাপনায় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবসায়িক কৌশল পরিবর্তন করে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ ব্যাপক ক্ষতি রোধ করতে সক্ষম হয়েছে। একই সঙ্গে ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নতুন নতুন পণ্য তৈরি ও বাজারজাত করছে। এ আর রশীদ বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বৈশ্বিক এ মহামারী মোকাবিলায় এ কো¤পানির উৎপাদিত পণ্য, অর্থাৎ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল টিস্যু ও ফেসমাস্ক বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের স্বার্থে বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে, যা সব পর্যায়েই প্রশংসা অর্জন করেছে। শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষা, উৎপাদন বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণ, ধারাবাহিকভাবে মুনাফা অর্জন এবং কোম্পানির উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য উপস্থিত শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির পরিচলনা পর্ষদকে ধন্যবাদ জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর