শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

শীতে বোরো বীজতলা বাঁচাতে মরিয়া কৃষক

দিনাজপুর প্রতিনিধি

শীতে বোরো বীজতলা বাঁচাতে মরিয়া কৃষক

ঘনকুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বীজতলার চারা বাঁচাতে মরিয়া কৃষকরা। গতকাল দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ছাতনী গ্রামের একটি খেত থেকে ছবিটি তোলা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে বীজতলার চারা বাঁচাতে মরিয়া  দিনাজপুর অঞ্চলের কৃষক। তারা আমন ধান কাটাই-মাড়াই শেষে এখন বোরো বীজতলা তৈরি ও চারা পরিচর্যায় ব্যস্ত। তবে আশঙ্কা কিছু নেই বলে কৃষি বিভাগ জানায়। মাঠে দেখা যায়, বিকালের পর কুয়াশা পড়া শুরু হয়। রাতে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায়। সকাল থেকে শুরু করে সূর্যের দেখা পাওয়া পর্যন্ত বোরো বীজতলায় কৃষককে পরিচর্যা করতে দেখা যায়। কেউ কেউ বোরো বীজতলা বাঁচাতে চারা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছে, আবার কেউ চারার ওপর জমে থাকা শিশির বিভিন্ন জিনিস দিয়ে ফেলে দিচ্ছেন যাতে চারাগুলো ভালো থাকে। কুয়াশা আরও কয়েক দিন থাকলে চারা মরে যাওয়ার আশঙ্কা কৃষকের। তবে এমন পরিস্থিতিতে মাঠপর্যায়ে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

হাকিমপুরের ছাতনী গ্রামের কয়েকজন কৃষক বলেন, ‘কয়েক দিন থেকে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। বীজতলা বাঁচাতে চারার ওপর পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হচ্ছে। এ ছাড়া বীজতলার পানি প্রতিদিন বদল করে দিচ্ছি। এতেও যদি বোরো চারা বাঁচাতে না পারি তাহলে বোরো আবাদ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রতিদিন আমাদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত চারাগুলো ভালো আছে।’ হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, ‘এ উপজেলার একটি পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নের কৃষক এখন বোরো বীজতলার চারা পরিচর্যায় ব্যস্ত।

 কয়েক দিন ধরে যে ঘন কুয়াশা হচ্ছে তার ফলে বোরো বীজতলার চারা যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা মাঠপর্যায়ে প্রতিদিন বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত প্রতিটি বোরো বীজতলার চারা ভালো আছে। এ উপজেলায় এবার ৩৪০ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা রয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর