সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামের ভাইরাসের সঙ্গে ৬ দেশের মিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের ভাইরাসের সঙ্গে ৬ দেশের মিল

চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিটি জেলার করোনাভাইরাসের জিনের বিন্যাস উন্মোচন (জিনোম সিকোয়েন্সিং) করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একদল গবেষক। ১১ জেলার প্রতিটি উপজেলা ও থানায় ঘুরে ঘুরে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে নিজস্ব ল্যাবে তা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে দেশে নতুন করে পাঁচটি মিউটেশনের সন্ধান পেয়েছে গবেষক দলটি। পুরো গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োক্যামিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল এবং মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক ও ড. এইচ এম আবদুল্লাহ আল মাসুদ। এছাড়াও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মো. খন্দকার রাজিউর রহমান, ইমাম হোসেন, মো. আরিফ হোসাইন ও সজীব রুদ্র, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ছাত্রী শান্তা পাল এবং বায়োক্যামিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ছাত্র মো. ওমর ফারুক সম্পৃক্ত ছিলেন। গবেষণায় পাওয়া তথ্য মতে, চট্টগ্রাম বিভাগের ভাইরাসটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, সৌদি আরব, তাইওয়ান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার ভাইরাসের দারুণ সাদৃশ্য রয়েছে।     প্রত্যেক  জেলার ডাটা পৃথকভাবে পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, এর মধ্যে কিছুটা ভিন্নতা আছে। যেমন চট্টগ্রাম জেলায় যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালি, চেক রিপাবলিক, সৌদি আরব ও তাইওয়ান;  নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলায় যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপান; কুমিল্লা ও চাঁদপুরে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, চেক রিপাবলিক, ভারত ও জাপান; ব্রাক্ষণবাড়ীয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, সৌদি আরব ও ভারত; কক্সবাজার, রাঙামাটি ও বান্দরবানে যুক্তরাষ্ট্র, সিয়েরালিওন, জার্মানি, ইতালি, তাইওয়ান ও চেক রিপাবলিক এবং খাগড়াছড়িতে অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব ও তাইওয়ানের নমুনার সঙ্গে সাদৃশ্য  বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া দেশে অন্যান্য সিকুয়েন্সের তুলনায় পাঁচটি নতুন মিউটেশন শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে একটি মিউটেশন সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে পাওয়া নতুন ভাইরাসের কয়েকটি মিউটেশনের একটি। তবে এই মিউটেশনে ভাইরাসটি আক্রান্তের সক্ষমতা কতটুকু তা নিয়ে গবেষণা করার দরকার আছে বলে মনে করছেন গবেষকরা। তবে বিভিন্ন জিনের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় মোট ৮৬টি নিউক্লিওটাইড পরিবর্তন হলেও অ্যামিনো অ্যাসিডে বা মিউটেশনে কোনো পরিবর্তন হয়নি। সব মিউটেশন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পাঁচটি মিউটেশন চট্টগ্রামে ব্যাপকভাবে বিস্তার করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর