সোমবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

পি কে হালদারের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট যে কোনো মুহূর্তে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের ঠিকানা সরকারকে জানিয়েছে কানাডা। যে কোনো মুহূর্তে এই অর্থ পাচারকারীর বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করবে ইন্টারপোল। গতকাল  বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে এমন তথ্য জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। পরে খুরশীদ আলম খান জানান, দুই-এক দিনের মধ্যেই রেড অ্যালার্ট জারি হতে পারে। আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, রেড অ্যালার্ট জারি করলে পৃথিবীর ১৯৪টি দেশের যে কোনো দেশেই পি কে হালদার থাকুন না কেন তা জানা যাবে। তবে কানাডায় তার একটি ঠিকানা পাওয়া গেছে।

এদিকে পি কে হালদারের প্রতারণার শিকার সাবেক প্রধান বিচারপতি মোস্তফা কামালের পরিবারসহ ভুক্তভোগী বিনিয়োগকারীরা মামলায় পক্ষভুক্ত হয়েছেন। আত্মসাৎকৃত টাকা ফিরিয়ে দিতে আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তারা। গতকাল আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ নেন পি কে হালদারের পিপলস লিজিংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চার বিনিয়োগকারী। যাদের মধ্যে ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মোস্তফা কামালের বড় মেয়ে ড. নাশিদ কামাল, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা শওকত উর রহমান ও ক্যান্সারে আক্রান্ত সামিয়া বিনতে মাহবুব। তারা জীবনের শেষ সম্বলটুকু ফিরিয়ে দিতে আদালতের কাছে আবেদন জানান। এ সময় তারা পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ও অর্থ পাচারের ঘটনায় অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে।

আগামীকাল মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর পি কে হালদারের গ্রেফতারি পরোয়ানা ইন্টারপোলের কাছে পাঠানো এবং তার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চায় হাই কোর্ট। ৩ জানুয়ারির মধ্যে তা জানাতে বলা হয়। গত ১৮ নভেম্বর ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন নজরে নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেফতার করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা দুদকের কাছে জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। ওই আদেশ অনুসারে দুদক গত ২ ডিসেম্বর একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। পি কে হালদার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থেকে অন্তত সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর