আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে গিয়ে বিএনপি নিজেরাই জনগণের কাছ থেকে উৎখাত হয়ে গেছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এতদিন যে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করেছে, মানুষকে জিম্মি করে রাজনীতি করেছে, মানুষ হত্যার রাজনীতি করেছে এবং মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার রাজনীতি করেছে- এগুলোর জন্য জনগণের কাছে নতুন বছরে তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১২ বছর ধরে তারা (বিএনপি) সরকারকে উৎখাত করতে গিয়ে নিজেরাই জনগণ থেকে উৎখাত হয়েছে। আমি তাদের অনুরোধ জানাব, সরকার উৎখাতের যে কথা আপনারা প্রতিনিয়ত বলছেন, এতে জনগণের কাছে আগে যেমন হাস্যকর হয়েছেন, এখনো নিজেদের হাস্যকর করছেন। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ জানাব, আপনারা ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় ফিরে আসুন।’

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্মরণ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের দলের ইতিহাসে অনেকেই সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। আমাদের দলের ইতিহাসে ভবিষ্যতেও অনেকেই সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু আশরাফ ভাইয়ের মতো এমন ভদ্রজন আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক খুব একটা পাইনি। তিনি রাজনীতিকে পেশা নয়, ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘এ বছর আমাদের প্রত্যাশা থাকবে দুটি। একটি হচ্ছে, দেশ করোনামুক্ত হবে এবং দ্বিতীয়টি, বিএনপি ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় ফিরে আসবে।

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, বিএনপি সব পথ হারিয়ে এখন খড়কুটো ধরে বাঁচার চেষ্টা করছে। সাজাপ্রাপ্ত নেত্রীর মুক্তির দাবিতে এক দিনের জন্য মাঠে নামতে না পারলেও বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই এগিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। আন্দোলন কত প্রকার, কী কী সব জানে আওয়ামী লীগ।

সৈয়দ আশরাফকে স্মরণ করে তিনি বলেন, রাজনীতিতে এমন সরল ও সজ্জন মানুষের আজকে বড় প্রয়োজন। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেও তিনি সাদাসিধে জীবন যাপন করতেন। সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন সৈয়দ আশরাফ ভাই।