অপহরণের সাত দিন পর চট্টগ্রামের হালিশহর থেকে উদ্ধার করা হলো ময়মনসিংহ থেকে অপহৃত নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে। ২৬ ডিসেম্বর ওই ছাত্রীকে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের রাস্তা থেকে তুলে নেওয়ার পর রমজান আলী নামের একজনের সহায়তায় ওই কিশোরীকে হালিশহরের এক বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। রমজান আলীকে আটকের পর কৌশলে খবর নিয়ে শুক্রবার গভীর রাতে ময়মনসিংহ পুলিশের একটি দল হালিশহর থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ সময় অভিযুক্ত আতাউর রহমান প্রকাশ আলতুকেও আটক করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণের শিকার ওই ছাত্রী স্বীকার করেছে, আলতু নামের ওই ব্যক্তি হালিশহরের একটি বাড়িতে তাকে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
তবে অভিযুক্ত আলতু জানান, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে তারা ঘর থেকে বের হয়েছেন। ওই ছাত্রীকে বিয়েও করেছেন। জানা যায়, ২৬ ডিসেম্বর খালার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি ওই ছাত্রী। খালার বাড়িতে না যাওয়ায় তাকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও সন্ধান না পেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় প্রথমে একটি ডায়েরি করা হয়। পরে জানা যায়, উপজেলার মাইজহাটি গ্রামের দুই সন্তানের জনক আতাউর রহমান ওরফে আলতু মিয়া ওই ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায়। এদিকে অপহৃত ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ শুক্রবার গভীর রাতে আলতুকে হালিশহর থেকে আটক এবং স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক শাওন চক্রবর্তী জানান, শনিবার বিকালে ওই ছাত্রী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। আটক আলতুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
