সোমবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ধর্ষণে ব্যর্থ হওয়ায় নারীকে বাস থেকে ফেলে দেন চালক

নিজস্ব প্রতিবেদক

সুনামগঞ্জে চলন্ত বাসে (ফাহাদ অ্যান্ড মায়শা পরিবহনের সিলেট-জ-১১-০২২৩) এক নারীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তাকে রাস্তায় ফেলে দিয়েছিলেন চালক শহিদ মিয়া ও তার সহযোগীরা। পরে গুরুতর আহত ওই নারীকে পথচারীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। ওই ধর্ষণচেষ্টার ঘটনার মামলার প্রধান আসামি শহিদকে গ্রেফতারের পর গতকাল রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক হাসিব আজিজ বলেন, ?‘বাসচালক শহীদ মিয়াকে  গ্রেফতারের পর ভুক্তভোগীর কাছে নেওয়া হলে, তিনি প্রধান আসামিকে শনাক্ত করেন। সে সময় ওই নারী জানান, শহীদ মিয়াই ধর্ষণচেষ্টা শুরু করেন। এর আগে বাসচালকের সহকারী রশীদকে গ্রেফতার করেছিল পিবিআই।

 রশীদের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি তার দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন। বাসচালককে গ্রেফতারের পর তিনি প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে যে তথ্য দিয়েছেন, তার সঙ্গে রশীদের জবানবন্দির মিল রয়েছে। একই সঙ্গে ভিকটিমের (ভুক্তভোগী) দেওয়া তথ্যও এক।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাসটি সিলেট  থেকে সুনামগঞ্জে যাচ্ছিল। সুনামগঞ্জের ১৬ কিলোমিটার আগে একটি বাইপাস আছে, সেই বাইপাস হয়ে দিরাইয়ে ওই নারীকে নামিয়ে দিয়ে সুনামগঞ্জে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাত্রীরা সব  নেমে যাওয়ার পর বাসচালক স্টিয়ারিং হুইল  হেলপার (চালকের সহকারী) বক্করের কাছে দিয়ে নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।’

সিআইডির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বাসটি চলার সময় (গত ২৬ ডিসেম্বর) নারীকে চুলের মুঠি ধরে চালক পেছনে নিয়ে যান। এরপর তার ব্যাগ ধরে টানাটানি করেন। ব্যাগ সামনে রেখে ওই নারী নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। চালক ব্যাগ  টেনে ছিড়ে ফেলেন। ব্যাগের জিনিসপত্র সব বাসের ভিতরে পড়ে যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, বাস চালক, কন্ট্রাক্টর ও হেলপার সংঘবদ্ধ হয়ে গ্যাং রেপের পরিকল্পনা করেছিল। পলাতক হেলপার আবু বক্করকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

উল্লেখ্য, সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুক্তা ধরের নেতৃত্বে একটি দল শনিবার (২ জানুয়ারি) সুনামগঞ্জের পুরনো বাসস্ট্যান্ড থেকে শহিদ মিয়াকে  গ্রেফতার করে। শহিদ সিলেটের মোল্লারগাঁও এলাকার বাসিন্দা। জানা গেছে, গত ২৬ ডিসেম্বর বিকালে সিলেট থেকে ফাহাদ অ্যান্ড মায়শা পরিবহনে উঠেন ওই তরুণী। এ বিষয়ে ওই দিনই তরুণীর বাবা সুনামগঞ্জের দিরাই থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর