মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

চাঙা হচ্ছে শেয়ারবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে চাঙা হয়ে উঠছে দেশের শেয়ারবাজার। নতুন বছরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সব সূচক লেনদেন বড় ধরনের উত্থান দিয়ে শুরু হয়েছে। বাজারে তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর এখন ঊর্ধ্বমুখী। বাজারে উত্থান দেখে আবারও ফিরতে শুরু করেছে বিনিয়োগকারীরা। প্রতিদিন শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে। চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের লেনদেনে সূচকের সঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর।

 ডিএসই লেনদেন ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন,  শেয়ারবাজারে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া ও করোনা ভ্যাকসিনের খবরে ওষুধ খাতের প্রভাবে বাজারে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠছে।

জানা গেছে, ২০২০ সালের শেষদিকে শেয়ারবাজারে সূচক লেনদেন বাড়তে শুরু করে। ডিসেম্বর মাসজুড়ে ডিএসইর গড় সূচক লেনদেন ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তার ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের প্রথম দুই দিনে লেনদেন ২ হাজার কোটির ওপরে উঠে এসেছে। বছরের দুই দিনের লেনদেনে দেখা গেছে রবিবার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা। গতকাল লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা। সর্বশেষ দিনের লেনদেনে দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৩.৩৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৫২.৩২ পয়েন্টে। ডিএসইতে ৩৬২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫৭টির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ১৪২টির এবং ৬৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০৭.২১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৩৭২.৩৯ পয়েন্টে। ডিএসইতে ওষুধ খাতের ওপর ভর করেই মূলত লেনদেন হচ্ছে বেশি। এরমধ্যে গত প্রায় দুই মাস ধরে বেক্সিমকো ফার্মার লেনদেন শীর্ষ তালিকায় ছিল। একই গ্রুপের বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার হাতবদলের পরিমাণও ছিল শীর্ষে। এছাড়া স্কয়ার ফার্মা শীর্ষ লেনদেন তালিকায় উঠে এসেছে। গত দুই দিনের লেনদেনে ওষুধ খাতের অবদান ছিল যথাক্রমে ১৯ শতাংশ ও ১৭ শতাংশ যা অন্যান্য খাতের চেয়ে বেশি। অন্যদিকে দেশের টেলিকম খাতে বড় কোম্পানি রবি তালিকাভুক্ত হওয়ায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ডিএসইর বাজার মূলধনও বাড়ছে প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। সর্বশেষ ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। আগের দিন ছিল ৪ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। ডিসেম্বর মাসের শেষদিনে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৪৯ হাজার কোটি টাকা।

জানতে চাইলে শেয়ারবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বাজারে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভালো কিছু কোম্পানি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে শেয়ারবাজারে। মানুষের আস্থা ফিরে আসছে। তবে এই আস্থা ধরে রাখতে হলে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে কঠোর নজরদারি করতে হবে। যে কোনো ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর