মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

শুদ্ধি আতঙ্কে সিলেট আওয়ামী লীগ

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

শুদ্ধি আতঙ্কে সিলেট আওয়ামী লীগ

প্রায় চার মাস আগে কেন্দ্রের কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। কমিটি জমার পরই দেখা দেয় ক্ষোভ, অসন্তোষ। অভিযোগ ওঠে ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া ও অবমূল্যায়নের। এ নিয়ে দলের বঞ্চিত ও অবমূল্যায়িত নেতারা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে নালিশও করেন। ফলে আটকে যায় কমিটি অনুমোদন। শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবিত কমিটিতে ‘শুদ্ধি’ অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটি থেকে কেন্দ্র থেকে ১১ জনকে বাদ দিয়ে শূন্যপদে ত্যাগী ও দলীয় কর্মকান্ডে সক্রিয়দের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার ঢাকায় তলব করা হয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের। কেন্দ্র থেকে ‘শুদ্ধি’ অভিযান শুরু হওয়ায় প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে জায়গা করে নিয়ে যেসব সুবিধাবাদী নেতা স্বস্তিতে ছিলেন তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।  সম্মেলনের প্রায় এক বছর পর গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রের কাছে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেন। এরপর প্রস্তাবিত কমিটি দুটির বিরুদ্ধে দলের দুঃসময়ের পরীক্ষিত নেতাদের অবমূল্যায়ন ও সুবিধাবাদীদের অতিমূল্যায়নের অভিযোগ ওঠে। মহানগর কমিটি থেকে বাদ পড়েন আগের কমিটির বেশ কয়েকজন সক্রিয় ও ত্যাগী নেতা। পরবর্তীতে বঞ্চিতরা মিলে কেন্দ্রের কাছে পাল্টা আরেকটি কমিটি জমা দেন। জেলা কমিটিতেও ত্যাগীদের অবমূল্যায়নের একই অভিযোগ ওঠে। প্রস্তাবিত দুই কমিটিতে প্রবাসী, বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আঁতাতকারী সুবিধাবাদীদের স্থান দেওয়ার অভিযোগ উঠলে কেন্দ্র থেকে ‘শুদ্ধি’ অভিযানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে গত ৩১ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানকে কেন্দ্রে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে সিলেট বিভাগের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রস্তাবিত কমিটির বিভিন্ন সদস্যের বিরুদ্ধে জমা হওয়া অভিযোগগুলো তুলে ধরেন। পরবর্তীতে প্রস্তাবিত কমিটি থেকে ১১ জনকে বাদ দেওয়া হয়। এদিকে, জেলার পর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আগামী ৮ জানুয়ারি ঢাকায় তলব করা হয়েছে। ওইদিন মহানগরের প্রস্তাবিত কমিটির যেসব নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদের নিয়ে আলোচনা হবে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। বৈঠকে অভিযুক্ত অনেকেরই কমিটি থেকে বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আগামী ৮ জানুয়ারি ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, কেন্দ্রের কাছে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেওয়া হয়েছে। এখন তা রদবদল করা কেন্দ্রের দায়িত্ব।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর