মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রতারণার অভিযোগে ন্যাশনাল কলেজের অনুমতি বাতিল

জিপিএ-৫ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন

নিজস্ব প্রতিবেদক

টাকার বিনিময়ে জিপিএ-৫ বিক্রি করার প্রলোভন দেখানোয় রাজধানীর উত্তরার ন্যাশনাল পাবলিক কলেজের পাঠদানের অনুমতি বাতিল করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা।  বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে তা কলেজটির অধ্যক্ষকে জানানো হয়েছে। আদেশে বলা হয়, কলেজটির কথিত চেয়ারম্যান আবদুল মতিন টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের জিপিএ বাড়িয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে। এ ছাড়াও বিধিমোতাবেক প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত না হওয়া, কাম্য শিক্ষার্থী না থাকা ও বিভিন্ন অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় কলেজটির পাঠদানের অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।  তথ্যমতে, ২০১৮ সালে একটি বেসরকারি টেলিভিশন কলেজটিতে ‘টাকার বিনিময়ে জিপিএ-৫ বিক্রি’র খবর প্রকাশ করলে অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করে ঢাকা বোর্ড। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পায় কমিটি। ২০১৯ সালের মে মাসে কলেজের পাঠদান কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছিল ঢাকা বোর্ড। সে আদেশ বাতিল চেয়ে রিট করে ন্যাশনাল পাবলিক কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে পাঠদান কার্যক্রম স্থগিত করার আদেশটি আদালত ২০২০ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত স্থগিত করে।

সে সময় শেষ হয়েছে। হাই কোর্টের আর কোনো আদেশ না থাকায় ন্যাশনাল পাবলিক কলেজের পাঠদানের অনুমতি বাতিল করেছে ঢাকা বোর্ড। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আদেশে জানায়, জিপিএ-৫ বিক্রির প্রলোভন ছাড়াও ন্যাশনাল পাবলিক কলেজের নানা অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। কলেজ কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটিকে শিক্ষকদের কোনো নিয়োগপত্র দেখাতে পারেনি। কলেজের কোনো কমিটি নেই। পাঠদানের মেয়াদও উত্তীর্ণ। কলেজের কথিত চেয়ারম্যান আবদুল মতিনের স্ত্রী কলেজের শিক্ষক পরিচয় দিলেও কোনো দালিলিক প্রমাণ দেখাতে পারেননি। কলেজটিতে ৩০০ আসন থাকলেও কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি নেই। এ ছাড়া কলেজটির বিরুদ্ধে ফরম পূরণের জন্য অতিরিক্ত টাকা আদায়, টিসির জন্য অতিরিক্ত টাকা আদায় এবং বোর্ডের আদেশ অমান্য করার অভিযোগ রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর