বুধবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ সরকারের যুগপূর্তি আজ

দেশবাসীকে অভিনন্দন দোয়ার আয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা এক যুগপূর্তি আজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতার টানা তৃতীয় মেয়াদের প্রথম দুই বছর আজ শেষ করে কাল তিন বছরে পা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করে আওয়ামী লীগ সরকার।  ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সে বছরের ১২ জুনের সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পর ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মতো সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার টানা দ্বিতীয় মেয়াদে যাত্রা শুরু করে। এ ছাড়া ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবারও নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদসহ চতুর্থবারের মতো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সেই (আওয়ামী লীগ) সরকারের দুই বছরও পূর্তি হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ৭ জানুয়ারি।

দেশবাসীকে আওয়ামী লীগের অভিনন্দন : এদিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা এক যুগপূর্তিতে বাংলাদেশের জনগণকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা ‘দিন বদলের সনদ রূপকল্প ২০২১’ উপস্থাপন করেন। জনগণ নিরঙ্কুশভাবে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে। একইভাবে দেশের জনগণ ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় গণরায় দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চলমান অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখে। পরম করুণাময়ের অশেষ কৃপায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের আস্থা, সমর্থন ও সহযোগিতা নিয়ে সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা এক যুগ দায়িত্ব পালন করছেন।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ধারাবাহিকভাবে গত ১২ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রগতির সব সূচকে যুগান্তকারী মাইলফলক স্পর্শ করেছে। ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় উন্নয়নের রোল মডেল। অর্থনীতি ও আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশকে ছাড়িয়ে সারা বিশ্বে অগ্রগতির অভূতপূর্ব স্মারক বহন করছে। দেশের গণতন্ত্র ও সুশাসনকে করেছে শক্তিশালী। করোনার মতো বৈশি^ক মহামারী নিয়ন্ত্রণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বের বুকে আজ বিশেষভাবে অনুকরণীয় রাষ্ট্রের মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা, দৃঢ়তা, সাহসিকতা, সততা ও কর্মনিষ্ঠা আজ বিশ্বনন্দিত। দেশের আপামর জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস ও শতভাগ সমর্থন আর আস্থার কারণেই বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে এই সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনার এই ঐতিহাসিক অভিযাত্রায় আওয়ামী লীগ সরকারের টানা এক যুগপূর্তিতে দেশের জনগণকে অভিনন্দন, শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানাই। এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আগামীর পথ চলা অব্যাহত রাখবে।

টানা এক যুগপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা এক যুগপূর্তিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন এবং দেশের মানুষের সার্বিক মঙ্গল কামনায় আওয়ামী লীগ সারা দেশে দোয়া মাহফিল ও বিশেষ প্রার্থনার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কেন্দ্রীয়ভাবে আজ বাদ আসর ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের সব মসজিদে সুবিধাজনক সময়ে দোয়া ও মিলাদ-মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা, উপাসনালয়ে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায়, বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় এবং মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিস্টান সম্প্রদায় বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর