চট্টগ্রাম মহানগরে উন্নয়নমূলক কাজে সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ততার কোনো সুযোগ নেই। অতীতে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন এবং ঠিকাদারদের বিল আদায়ে কাউন্সিলরদের সুপারিশ গ্রহণের একটি মৌখিক প্রথা ছিল। তবে এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় একটি চিঠি দিয়ে বিষয়টি সরাসরি নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল দেশের সব সিটি করপোরেশনকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিটি করপোরেশন শাখা-১ এর উপসচিব প্রেরিত ‘উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বহির্ভূত এলাকায় সিটি করপোরেশন সমূহের অধিক্ষেত্রে ভবন নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ এবং ঠিকাদার কর্তৃক দাখিলকৃত উন্নয়ন কাজের বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে কাউন্সিলরের সুপারিশ গ্রহণ’ শীর্ষক চিঠির মাধ্যমে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ততা না থাকলে কাজের মান ঠিক না থাকা, কাজ শেষ না করে বিল আদায় করাসহ নানা অভিযোগ ওঠার শঙ্কা আছে বলে মনে করছেন অনেকেই। জানা যায়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর (২০০৬-২০১০) শেষ আমল এবং এম মনজুর আলমের (২০১০-২০১৫) আমল পর্যন্ত মৌখিক একটা প্রথা ছিল যে, উন্নয়ন কাজের যথাযথ মান ও সমাপ্তি নিশ্চিত করতে কাউন্সিলরদের তদারকি করতে বলা হয়। কাজ শেষে কাউন্সিলর কর্তৃক প্রত্যায়নপত্রও নিতে হতো। তবে সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের আমলে (২০১৫-২০২০) মৌখিক এ প্রথা তুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে চসিকের নির্বাচিত পরিষদ না থাকায় কাউন্সিলর নেই। চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘উন্নয়ন কাজে কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ততা না থাকার বিষয়ে একটি চিঠি এসেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ অভিযোগ আছে, উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নকালে কাজের যথাযথ মান নিশ্চিত না করা, কাজ শেষ না করে চলে যাওয়া, কাজ শেষ না করে পুরো কাজের বিল নিয়ে নেওয়াসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। একই সঙ্গে প্রকৌশলী-ঠিকাদার যোগসাজশে কাজে অনিয়মের একটা প্রথাও অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’ একটা বিষয় হিসেবে সবার কাছে পরিষ্কার হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কাউন্সিলরকে কাজ তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়।