পৌরসভা গঠনের প্রায় ১৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও সিটি করপোরেশন হয়নি দেশের বৃহৎ বগুড়া পৌরসভা। সিটি করপোরেশনে উন্নীত হতে পৌরসভার আয়তন, জনসংখ্যা, নিজস্ব আয়সহ যেসব যোগ্যতা দরকার তার সবই আছে। তবুও সিটি করপোরেশন না হওয়ায় সরকারের সদিচ্ছার অভাবকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা যায়, বগুড়া পৌরসভা গঠিত হয় ১৮৭৬ সালের ২ জুলাই। গঠনকালে বগুড়া পৌরসভার আয়তন ছিল প্রায় ১৪ বর্গকিলোমিটার। পরে ২০০৪ সালে বগুড়া পৌরসভাকে প্রায় ৭০ বর্গকিলোমিটারে উন্নীত করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। সে সময় ১২টি ওয়ার্ড থেকে ২১টি ওয়ার্ডে উন্নীত হয়। পৌরসভাকে বৃহত্তর করার মধ্য দিয়ে পরবর্তীতে বগুড়াকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করা। কিন্তু ধারাবাহিকতা রক্ষা না হওয়ায় বগুড়া পৌরসভা আর সিটি করপোরেশন হয়নি। তবে গত ১২ বছরে রংপুর, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু এখনো পৌরসভাই রয়ে গেছে দেশের সর্ববৃহৎ এ পৌরসভাটি। অথচ সিটি করপোরেশনে উন্নীত করণে যেসব যোগ্যতা দরকার তার সবই রয়েছে বগুড়ার। শুধুমাত্র রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে বগুড়া সিটি করপোরেশন বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে নাগরিক সমাজের অভিমত। বগুড়া পৌরসভার মেয়রের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বগুড়া পৌরসভার বর্তমান স্থায়ী জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ এবং ভোটার রয়েছে ৩ লাখ। ফলে ১৫ বছর আগে গ্রাম থেকে শহরে উন্নীত বিশাল জনগোষ্ঠী আজও পৌরসভার কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন না। বগুড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট এ কে এম মাহবুবুর রহমান বলেন, জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে পৌরসভায় উন্নয়ন সহায়তা বরাদ্দ দরকার। বগুড়া পৌরসভা প্রথম শ্রেণির হিসেবে অন্যান্যদের মতোই বরাদ্দ পায়। এখানকার জনসংখ্যা ও ভোটার সংখ্যা নতুন কয়েকটি সিটি করপোরেশনের চেয়েও বেশি। তারা সিটি করপোরেশন হিসেবে বছরে শত শত কোটি টাকা বাজেটে আলাদা বরাদ্দ পায়। তাই এখানকার সম্প্রসারিত এলাকাসহ সব এলাকার উন্নয়ন করতে হলে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করতে বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক বলেন, সিটি করপোরেশন গঠনের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের। এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত জানা নেই।
