বুধবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

চসিক নির্বাচন ঘিরে প্রাণ চাঞ্চল্য কমিশন কার্যালয়ে

প্রশিক্ষণ নেবেন ১৫ হাজার কর্মকর্তা

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন ঘিরে আবারও কর্মতৎপরতায় ফিরেছে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্থগিত হওয়া নির্বাচনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা স্ব স্ব কাজ শুরু করেছেন। কমিশন অফিসের দায়িত্বশীলদের নিজ নিজ দফতরে কাজের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। ইতিমধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা নির্বাচন কার্যালয়। এতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তাদের তালিকা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এতে নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের জন্য ১৫ হাজার ৩৯৩ জন কর্মকর্তা পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ নেবেন। তবে ভোট গ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনেই (ইভিএম)। এ জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১১ হাজার ৫০০ ইভিএম। প্রত্যেক বুথে দুটি ইভিএম থাকবে বলে জানান নির্বাচন কমিশন অফিসের দায়িত্বশীলরা। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, চসিক নির্বাচন ঘিরে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আগামী ২৭ জানুয়ারির নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতিতে ৭৩৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৪ হাজার ৮৮৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং ৯ হাজার ৭৭২ জন পোলিং কর্মকর্তার তালিকা তৈরি করা হয়। পর্যায়ক্রমে তাদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। গত ২০ মার্চ ৩ হাজার কর্মকর্তার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন। মহানগরের ৯টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রশিক্ষণ, যা চলে ২৫ মার্চ পর্যন্ত। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের ৭৩৫টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৮৮৬টি ভোট কক্ষ রয়েছে। জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন ও নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন। ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭৩৩টি স্থায়ী ও দুটি অস্থায়ী। নির্বাচনের দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তাদের অনেকেই আছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষক। তাদের মধ্যে নারীও আছেন। এমনিতেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রুটিন দায়িত্ব পালন করতে হয়, তার ওপর সংসারের কাজ সামলে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করা খুব কঠিন। পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কায় ভয়ে আছেন তারা। জানা গেছে, ২০১০ সালে চসিক নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইভিএম-এ ভোট দেন ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডের ভোটাররা। এরপর একাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ আসনের চসিক ১৫ থেকে ২৩ এবং ৩১ থেকে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত মোট ১৪ ওয়ার্ডের ভোটার ইভিএম-এ ভোট দেন। এর আগে ভোটারদের ইভিএম ভীতি দূর করতে মক ভোটিংয়ে ব্যবস্থা করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর