বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

সড়কে ঝরল ৫ হাজার প্রাণ

সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিংয়ের অভাব, টাস্কফোর্সের সুপারিশ বাস্তবায়ন না হওয়াসহ নানা কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সড়কে ঝরল ৫ হাজার প্রাণ

গত বছর ৪ হাজার ৯২টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৫ হাজার মানুষ। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৫ হাজার ৫৮ জন। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ২০২০ সালের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরে এ তথ্য জানিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। ইলেকট্র্রনিক মিডিয়া, ১১টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন পোর্টালের তথ্য, শাখা সংগঠনগুলোর রিপোর্ট এবং অপ্রকাশিত ঘটনার তথ্য থেকে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া অপ্রকাশিত দুর্ঘটনা ও হাসপাতালে ভর্তির পর এবং হাসপাতাল থেকে রিলিজের পর মৃত্যুর তথ্যও এই পরিসংখ্যানে যোগ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর মোট ৪ হাজার ৯২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ৪৪৭ দুর্ঘটনায় ৪৯৫ জন নিহত ও ৮২৩ জন আহত, ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৬৫ দুর্ঘটনায় ৪৩৭ নিহত ও ৭৬২ আহত, মার্চে ৩৭৯ দুর্ঘটনায় ৪৫৪ নিহত ও ৭৬৭ আহত, এপ্রিলে ১৩২ দুর্ঘটনায় ১৩০ নিহত ও ১২০ আহত, মে মাসে ১৯৬ দুর্ঘটনায় ২৪২ নিহত ও ২০৬ আহত, জুনে ২৬০ দুর্ঘটনায় ৩৩০ নিহত ও ২৩৩ আহত, জুলাইয়ে ২২০ দুর্ঘটনায় ২৮৪ নিহত ও ১৯৭ আহত, আগস্টে ৩৪০ দুর্ঘটনায় ৪৮৩ নিহত ও ৪২৩ আহত, সেপ্টেম্বরে ২১৬ দুর্ঘটনায় ২৫০ নিহত ও ৪০৪ আহত, অক্টোবরে ২৩০ দুর্ঘটনায় ২৬২ নিহত ও ৩৮৭ আহত, নভেম্বরে ২৬২ দুর্ঘটনায় ৩১৬ নিহত ও ৩৭২ আহত এবং ডিসেম্বরে ৩৬৩ দুর্ঘটনায় ৪৫৮ জন নিহত এবং ৩৯১ জন আহত হন। রেলপথে ১০৮টি দুর্ঘটনায় ১২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩১ জন। ৭০টি নৌ দুর্ঘটনায় ২১২ জন নিহত এবং ১০০ জন নিখোঁজ হয়েছেন গত বছর। এ ছাড়া অপ্রকাশিত তথ্য ও হাসপাতালে ভর্তির পর এবং হাসপাতাল থেকে রিলিজের পর মৃত্যুর হিসাবে ৬৮২ দুর্ঘটনায় ৮২৮ জন নিহত হন।

সড়কের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিংয়ের অভাব, টাস্কফোর্সের সুপারিশ বাস্তবায়ন না হওয়া, চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা, দৈনিক চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালনা, লাইসেন্স ছাড়া চালক নিয়োগ, পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে ওভারটেকিং করা, বিরতি ছাড়াই দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি চালানো, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানো বন্ধে আইনের প্রয়োগ না থাকা, মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, একই রাস্তায় বৈধ ও অবৈধ এবং দ্রুত ও শ্লথ যানবাহন চলাচল, রাস্তার পাশে হাটবাজার ও দোকানপাট, অশিক্ষিত ও অদক্ষ চালক, রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়ন না হওয়া ইত্যাদি কারণকে দুর্ঘটনার কারণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। দুর্ঘটনা রোধে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর বাস্তবায়ন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত ছয় দফা দ্রুত বাস্তবায়ন, টাস্কফোর্সের সুপারিশ বাস্তবায়নসহ বেশ কিছু সুপারিশ করে নিসচা।

সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব লিটন এরশাদের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে মহাসচিব সৈয়দ এহসানুল হক কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজাদ ও সদস্য আজাদ প্রমুখ এতে উপস্থিত ছিলেন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর