২০ বছরেরও বেশি সময় পার হয়ে যাচ্ছে। তারপরও বগুড়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা স্বপ্নই রয়ে গেছে। কয়েক দফা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। শুধুমাত্র ঘোষণার মধ্যেই রয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রিপরিষদে পাস হলেও আজও কোনো অগ্রগতি নেই। এতে বগুড়ার সর্বস্তরের মানুষ অনেকটাই হতাশ। জানা গেছে, ভৌগোলিক দিক থেকে বগুড়ার সঙ্গে উত্তরের জেলাগুলোসহ সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮২১ সালে প্রতিষ্ঠিত বগুড়া জেলা দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি জেলা। উত্তরের প্রবেশ দ্বার বগুড়া নানা কারণে আজ গুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাকিস্তান আমল থেকেই শিল্পের শহরের খ্যাতি রয়েছে বগুড়ার। আর এখন যোগ হয়েছে শিক্ষা নগরীর খ্যাতি। রাজশাহী বিভাগের মধ্যে এক সময় রাজশাহী শহরকে শিক্ষানগরী বলা হলেও সে জৌলুস আর নেই। ২০০১ সালে জাতীয় সংসদে বগুড়াসহ কয়েকটি জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়নি। এরপর একই সঙ্গে অন্যান্য কয়েক জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হলেও বগুড়ায় আজও হয়নি।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বগুড়ার উন্নয়নে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন। এরপর গত ২৬ জানুয়ারি ২০২০ মন্ত্রিসভার বৈঠকে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু এরপর ১২ মাস কেটে গেলেও মন্ত্রিসভা ও জাতীয় সংসদে আইন পাসের কোনো অগ্রগতি হয়নি।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক বলেন, বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত জানালে হুকুম দখলসহ অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।যদিও সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এস এম কামাল হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদের মধ্যে বগুড়ায় একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়ে যেতে পারে।