বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

অপরাধ কমছে না রংপুর শহরে

ছয় থানায় দেড় হাজারের বেশি অপরাধ মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকার ছয় থানায় গত এক বছরে দেড় হাজারের বেশি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। মাসে গড়ে ২৯০ জন আসামি গ্রেফতার হয়েছে। সোয়া কোটি টাকার মাদক উদ্ধার হয়েছে। গতকাল দুপুরে নিজ কার্যালয় মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলিম মাহামুদ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত এক বছরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ বিভাগের তিনটি জোনের অধীন ছয় থানায় মোট ১ হাজার ৫০৮টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৪১০টির অভিযোগপত্র এবং ১০৩টির ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত সমাপ্ত করে নিষ্পত্তি করাসহ ৩ হাজার ৪৭৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বছরে ছয়টি থানায় মোট ৩ হাজার ৮৪৭ জিআর ওয়ারেন্ট, ২ হাজার ৬০ সিআর ওয়ারেন্ট ও ১৯৬৬ সাজা ওয়ারেন্ট (জিআর ও সিআর) নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এ ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও উদ্ভূত নানা ধরনের আইনগত সমস্যা প্রতিকারের লক্ষ্যে মোট ২ হাজার ২৯৯ নন এফআই আর প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়েছে। ৫৬৭টি মাদক সংক্রান্ত মামলা এবং বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১১ হাজার ১৮৩ পিস ইয়াবা, গাঁজা ৩৫৫ দশমিক ৬৬ কেজি, ১৯৬ দশমিক ৯২ গ্রাম হেরোইন, ৭৯০ বোতল ফেনসিডিল, ২৬৯ লিটার চোলাই মদ, ১৮৫ লিটার স্পিরিট, ৫ হাজার ৩০০ লিটার ওয়াস, বিদেশি মদ ১৪ লিটার উদ্ধার করা হয়। এসবের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ২০০ টাকা। খুনসহ ১৯ চাঞ্চল্যকর মামলা ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে। গত এক বছরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের দুটি জোনের অধীনে ৪৮ হাজার ১৪টি মামলা করে ২ কোটি ২১ লাখ ৫ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। করোনাকালীন সময়ে রংপুর মহানগরী ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা হতে করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।

অবৈধভাবে সংরক্ষণ করা টিসিবি ও ওএমএস পণ্য উদ্ধার করে সাতটি নিয়মিত মামলা ও তিনটি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৩ হাজার ৪৫৬ লিটার সয়াবিন তেল, ১ হাজার ৫৫০ কেজি চিনি, ৫০ কেজি ডাল, ১ হাজার ৫৩০ কেজি চাল এবং ২৮৮ কেজি পিঁয়াজ উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য ১৫ লাখ টাকার ওপর। গোয়েন্দা বিভাগ মহানগরী এলাকার ২২টি মেডিকেল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করে ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ভুয়া ডাক্তার গ্রেফতার করা হয়।

এ ছাড়াও মেডিকেল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১২০ জন দালাল চক্রের সদস্য গ্রেফতার করা হয়। বিআরটিএ এবং পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩৫ জন দালাল চক্রের সদস্য গ্রেফতার করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর