বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান সাবেক ডাকসু ভিপি নূরের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রয়োজনে শিক্ষা কার্যক্রমের মেয়াদ কমিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ- ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, ‘হাট-বাজার, লঞ্চঘাট, অফিস-আদালত সবকিছুই পূর্ণদমে চলছে, তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে সমস্যা কোথায়?’ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে তার সংগঠন ‘ছাত্র অধিকার পরিষদ’ আয়োজিত এক ছাত্র সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান। ২৩ ডিসেম্বর থেকে সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা।

সমাবেশে নুরুল হক নূর বলেন, ‘সংক্রমণের হার বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন দেশে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে।

কখনো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদেরও অবশ্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষা কার্যক্রমের মেয়াদ কমিয়ে আনতে হবে। পাঁচ দিনের পরিবর্তে সেটি তিন দিন করে দেওয়া যেতে পারে। একই বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শিফটে ভাগ করে ক্লাস নেওয়া যেতে পারে। শিক্ষা কার্যক্রম আর একটা দিনের জন্য বন্ধ রাখা যাবে না।’ তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবির সঙ্গে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও প্রগতিশীল ছাত্রজোট সবাই একমত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় এ দাবি উপেক্ষা করতে পারে না। এর পরও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হচ্ছে না। নিশ্চয়ই এর পেছনে ‘কিন্তু’ রয়েছে। কেউ হয়তো বলছেন, ‘স্যার, খুলবেন না।’

দীর্ঘদিন লেখাপড়ার বাইরে থাকায় শিক্ষার্থীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে উল্লেখ করে নূর বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বাদ দিলেও স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে লেখাপড়ার বাইরে। তারা কিন্তু মানসিকভাবে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অনলাইন ক্লাসের শিক্ষার্থীদের মনোযোগ থাকে না। বিদেশি একটি পত্রিকা নিউজ করেছে, শিক্ষার্থীরা নেটওয়ার্কের জন্য গাছে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছে শিক্ষার্থীদের ডিভাইস দেওয়া হবে, ইউজিসি বলেছে শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থীকে বলতে শুনলাম না একটি ডিভাইস পেয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘উপাচার্য হয়েও ছাত্রদের নিয়ে যে ধরনের মন্তব্য করছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অমানবিক। কোটা আন্দোলনের সময় এই ভিসি আমাদের তালেবান জঙ্গিদের সঙ্গে তুলনা করে বক্তব্য দিয়েছিলেন।’

টিএসসি ভাঙার বিষয়ে নূর বলেন, ‘টিএসসির যে স্বাতন্ত্র্য একটি কাঠামো রয়েছে, সেটিকে অক্ষুণœ রেখে যাতে টিএসসির উন্নয়ন করা হয়। পরমাণু শক্তি কমিশন ওখান থেকে চলে যাবে। সেটিকে টিএসসির মধ্যে যুক্ত করলে টিএসসি আরও বড় হবে। যা-ই করা হোক, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলব, প্রত্যেক স্টেকহোল্ডার, ছাত্র-শিক্ষক সবার মতামত নিয়েই যেন করা হয়।’

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, ঢাবি শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর