শুক্রবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

বহির্বিভাগের রোগীর চিকিৎসা ক্লাসরুমে!

চমেক হাসপাতাল

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু কিডনি ওয়ার্ডের বহির্বিভাগের নিজস্ব কোনো কর্নার নেই। ফলে বহির্বিভাগের রোগী দেখা হয় ওয়ার্ডসংলগ্ন ক্লাসরুমে। শুধু তাই নয়, বিভাগে প্রয়োজনীয় স্থান না থাকায় একমাত্র শিশু কিডনি ডায়ালাইসিস মেশিনটিও স্থাপন করতে হয়েছে কিডনি বিভাগে। নেই জনবলও। এভাবে স্থান সংকট ও নানা সমস্যা সঙ্গী হয়ে আছে শিশু কিডনি বিভাগটির। ফলে খুঁড়িয়েই চলছে চট্টগ্রামসহ ১১ জেলার একমাত্র শিশু কিডনি চিকিৎসা কেন্দ্রটি। হাসপাতালের কিডনি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিভাগটি সরকারি অনুমোদন পায় ২০১০ সালে। নানা প্রক্রিয়া শেষে ২০১৩ সালের ১১ ডিসেম্বর ১১ শয্যা নিয়ে যাত্রা করে। বিভাগে আছেন মাত্র দুজন সহযোগী অধ্যাপক, একজন সহকারী অধ্যাপক ও একজন সহকারী রেজিস্ট্রার। প্রতিনিয়ত রোগীর সংখ্যা বাড়লেও সাত বছর পরও বাড়েনি শয্যা। প্রতিদিন শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের তিন থেকে পাঁচ জন রোগীকে কিডনি ওয়ার্ডে রেফার করা হলেও শয্যা সংকটে তাদের ভর্তি করানো যায় না। তা ছাড়া প্রতিদিন বহির্বিভাগে আট-দশ জন রোগী চিকিৎসা নেন। হাসপাতালের কিডনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মারুফ উল কাদের বলেন, ‘ওয়ার্ডে স্থান সংকট একটা বড় সমস্যা। কারণ শিশু কিডনি রোগীকে দীর্ঘদিন শয্যায় থাকতে হয়। কিছু দিন আগে এক রোগী সাত মাস বেডে ছিল।

ফলে নতুন রোগী ভর্তি সম্ভব হয় না। তাই এখানে শয্যা বৃদ্ধি জরুরি। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’ তিনি জানান, শিশু স্বাস্থ্য থেকে কিডনি বিভাগে দৈনিক তিন থেকে পাঁচ জন রোগী রেফার করা হয়। কিন্তু শয্যা সংকটের কারণে ভর্তি করা যায় না। তা ছাড়া ডায়ালাইসিস মেশিন থাকলেও প্রয়োজনীয় স্থান ও জনবল নেই। তাই বয়স্কদের ডায়ালাইসিস ওয়ার্ডে রেখে শিশু কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস করা হয়।

চমেকের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবগত। তবে শিশু বিভাগের জন্য আরেকটি ওয়ার্ড বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এটি বরাদ্দ হয়ে গেলে আর স্থান সংকট থাকবে না।’

জানা যায়, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার মধ্যে শিশু কিডনি বিভাগ আছে মাত্র চমেক হাসপাতালে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চালু হলেও এখনো সেবা শুরু হয়নি। ফলে চমেক হাসপাতালে চট্টগ্রাম বিভাগসহ বরিশাল ও খুলনা থেকে রোগী আসে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে রোগীর ভিড়। কিন্তু রোগীর তুলনায় চিকিৎসক অনেক কম। নানাভাবে নার্স মিললেও চিকিৎসক সংকট থেকেই যায়। তবে এ সংকট ইন্টার্ন চিকিৎসক দিয়ে মেটাতে হয় বলে জানা যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর