শিরোনাম
শনিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

সারি সারি ঘরে স্বপ্ন বুনছেন ভূমিহীনরা

খুলনায় ৯২২টি হতদরিদ্র পরিবার পাচ্ছে নতুন ঠিকানা

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

সারা দিনের পরিশ্রম শেষে এখন থেকে নিজের জমিতে নিজের ঘরে ফিরতে পারবেন ভূমিহীন গৃহহীন মানুষগুলো। ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে আর রঙিন টিনের ছাউনিতে সারি সারি ঘর দেখে স্বপ্ন বুনছেন খুলনার নয়টি উপজেলার হতদরিদ্র ৯২২টি পরিবার। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে তাদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুই শতাংশ খাসজমির বন্দোবস্তসহ দুই কক্ষের সেমিপাকা ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। এসব ঘরের সঙ্গে প্রতিটিতে একটি রান্না ঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা থাকবে। এরই মধ্যে নির্মাণাধীন ঘর দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পরিবারগুলোর কাছে। তারাই নিজেদের মতো দেখেশুনে বুঝে নিচ্ছেন জমি ও ঘর। মানসম্মত ও টেকসই ঘর পেয়ে খুশি ভূমিহীন গৃহহীন মানুষগুলো। জানা যায়, খুলনা জেলা থেকে ‘ক’ ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত ভূমিহীন গৃহহীন ৫ হাজার ৮৮টি পরিবারের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে ৯২২টি পরিবারকে জমি ও ঘর নির্মাণ করে দিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রূপসা উপজেলায় ৭২টি, তেরখাদায় ৪০টি, দিঘলিয়ায় ৭০টি, ফুলতলায় ৪০টি, ডুমুরিয়ায় ১৪০টি, বটিয়াঘাটায় ১৫০টি, দাকোপে ১৪০টি, পাইকগাছায় ২২০টি ও কয়রায় ৫০টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি গৃহনির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। সে হিসেবে ঘর নির্মাণে মোট ব্যয় হচ্ছে ১৫ কোটি ৭৬ লাখ ৬২ হাজার টাকা। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, শহরতলির চমৎকার পরিবেশে মানসম্মত টেকসই এসব ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। এতে এসব দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে খুলনার শতভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাদের জমি নাই ঘর নাই তাদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় জমি ঘর দেওয়া হবে।

ডুমুরিয়ার আটলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রতাপ কুমার রায় বলেন, সরকারি কাজের মান নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন থাকে।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্প আশ্রয়ণ-২-এর আওতায় কাজের গুণগত মান শতভাগ বজায় রেখে ভূমিহীন পরিবারকে জমি ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমি ও ঘর পেয়ে তাদের জীবনযাত্রা বদলে যাবে বলছেন উপকারভোগীরা।

সর্বশেষ খবর