শিরোনাম
রবিবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স : হানিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স : হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে কাউকে প্রশ্রয় দিচ্ছে না সরকার।  গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান-প্রজন্ম ঐক্যজোট নামের একটি সংগঠন  এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, নুরুল আমিন রুহুল এমপি, পঙ্কজ দেবনাথ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ। 

বিএনপির সমালোচনা করে হানিফ বলেন, আপনারা কথায় কথায় দুর্নীতির কথা বলেন। দুর্নীতি সারা পৃথিবীতে কমবেশি রয়েছে। আমাদের এখানে যে নেই, সেটা বলব না। কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। যার বিরুদ্ধে যখন কোনো অভিযোগ উপস্থাপিত হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতিকে আমরা প্রশ্রয় দেই না। কঠোরভাবে দুর্নীতিকে দমন করার জন্য সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিষয়ে কঠোর। সেই দুর্নীতি সরকারি কর্মকর্তা, দলীয় নেতা-কর্মী বা যে কেউ হোক না কেন অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বাক-স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে সরকারের অযৌক্তিক সমালোচনা করে যাচ্ছে বিএনপি। বিএনপি নেতা মেজর আখতার কয়েকদিন আগেই বলেছেন, বিএনপির বর্তমানে যে নেতৃত্ব বিদ্যমান রয়েছে, তারা সরকারে যাওয়ার চেয়েও শেখ হাসিনার সরকার হাজারগুণ ভালো। এটা আমাদের কথা নয়, উনাদের দলের নেতার কথা।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি উপদেষ্টা মঞ্জুরুল আহসান খানকে দায়িত্ব থেকে ছয় মাসের অব্যাহতির সমালোচনা করেছেন হানিফ। তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের সত্যটা তুলে ধরার জন্য সিপিবি নেতা মঞ্জুরুল আহসান খানকে ছয় মাসের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আমি অবাক হই, আপনারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, এটা কি গণতন্ত্র? এখানে স্বাধীনভাবে কথা বলার কি সুযোগ নেই? তিনি তো (মঞ্জুরুল আহসান খান) সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের যে কথা বলেছেন, উনি তো অসত্য বা বিভ্রান্তিমূলক কোনো তথ্য দেননি। উনি যেটা সঠিক, চোখে দেখছেন, যেটা দৃশ্যমান সেই উন্নয়নের কথা বলেছেন। এতে সিপিবির নেতারা নাখোশ হয়ে তাকে ছয় মাসের জন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহিত দিয়েছেন। এটা হলো আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলের চরিত্র। তারা সরকারের উন্নয়ন চোখে দেখে না। তারা সরকারের বিরুদ্ধাচার করে যাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর