সোমবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ

ফের পেছাল অভিযোগ গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে দলবেঁধে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগ গঠন আবারও পিছিয়েছে। গতকাল দুপুরে অভিযোগ গঠনে শুনানির দিন ধার্য থাকলেও আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তা পিছিয়ে আগামীকাল নির্ধারণ করেছেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হক চৌধুরী। সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি রাশিদা সাঈদা খানম জানান, আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আগে আসামিপক্ষ অভিযোগপত্র পর্যালোচনায় আরও দুই দিন সময় প্রার্থনা করে। বিচারক তা মঞ্জুর করেন। ১২ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে। এর আগে গত ৩ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের শুনানি থাকলেও আসামিপক্ষের আইনজীবী অভিযোগপত্র পর্যালোচনায় সময় প্রার্থনা করেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক অভিযোগপত্রের ওপর আসামিপক্ষের রাজি বা নারাজির বিষয়টি জানাতে ১০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন।

এদিকে, গতকাল গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামি তারেকুল ইসলাম তারেকের জামিন চাওয়া হয় আদালতে। তবে তা নামঞ্জুর করেন বিচারক।

জানা গেছে, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলায় গত ৩ ডিসেম্বর প্রধান অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

অভিযোগপত্রে গ্রেফতার আটজনের মধ্যে ছয়জনকে ধর্ষণে সরাসরি জড়িত এবং অপর দুজনকে তাদের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগপত্রে ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়াকে ধর্ষণে সরাসরি জড়িত করে উল্লেখ করে পুলিশ। এ ছাড়া রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়। আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার আগে ঘটনাস্থলের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে গ্রেফতার আসামিদের ডিএনএ নমুনার পরীক্ষা করানো হয়। তাতে নমুনার মিল পাওয়া যায়।

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট নগরীর টিলাগড়স্থ এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া এক গৃহবধূকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেন কয়েক ছাত্রলীগ কর্মী। ঘটনার পরদিন সকালে নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর