সোমবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে : তোফায়েল

ভোলা প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে : তোফায়েল

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি বলেছেন, দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় এলেও স্বাধীনতার পূর্ণতা এসেছে ১০ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে।  পাকিস্তানের কারাগার থেকে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু মুক্তি পেয়ে প্রথমে লন্ডন, পরে ভারত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দুপুর ১টা ৫১ মিনিটে স্বাধীন দেশের মাটি প্রথম স্পর্শ করেন। সেদিন তোফায়েল আহমেদসহ জাতীয় চার নেতা বঙ্গবন্ধুকে প্রথম অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন। গতকাল ভোলা জিলা স্কুল মাঠে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তোফায়েল আহমেদ তাঁর ঢাকার বনানীর বাসা থেকে টেলিকনফারেন্সে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন। তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরই বুঝেছিলেন যে, এক দিন বাঙালির ভাগ্য নিয়ন্তা বাঙালিকেই হতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই তিনি প্রথমে ছাত্রলীগ ও পরে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার বীজ বপন করে ধীরে ধীরে চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ষিষট্টির ছয় দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং সত্তরের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সমস্ত বাঙালি জাতিকে তিনি ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

 তিনি প্রথমে নিজেকে তারপর তাঁর দল আওয়ামী লীগকে, তারপর বাংলার মানুষকে এক কাতারে এনেছিলেন। তারপর তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য তৈরি করেছিলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু লন্ডনে গেলে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, এখন আপনি কোথায় যাবেন? তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমি আমার স্বপ্নের বাংলাদেশের যাব। তখন সাংবাদিকরা বলেছিলেন, বাংলাদেশ তো এখন ধ্বংসস্তূপ। বঙ্গবন্ধু উত্তরে বলেছিলেন, এই ধ্বংসস্তূপ থেকেই এক দিন আমি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত শস্য শ্যামলা সোনার বাংলা গড়ে তুলব। বঙ্গবন্ধুর দুটি স্বপ্ন ছিল। একটি তিনি দিয়ে গেছেন। সেটি স্বাধীনতা। আরেকটি হলো বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত করা। সেটি তিনি করে যেতে পারেননি। সেই কাজটি আজকে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাতে নিয়েছেন।

গতকাল জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি দোস্ত মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আশরাফ হোসেন লাবু, অ্যাডভোকেট জুলফিকার আহমেদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর