মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে অস্বস্তিতে আওয়ামী লীগ

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে অস্বস্তিতে আওয়ামী লীগ

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে আওয়ামী লীগ অস্বস্তিতে। নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে বিষয়টি ততই জটিল আকার ধারণ করছে। ৪২টি ওয়ার্ডের প্রায় প্রতিটিতেই দলের নির্দেশনা না মেনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তথা বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। ফলে মেয়র নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য নগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যেসব কেন্দ্র কমিটি হয়েছে, সেখানেও বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রভাব থেকে যাচ্ছে। ফলে মেয়র পদে নির্বাচন করতে গিয়ে নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী বেশ অস্বস্তিতে রয়েছেন বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের সরে যাওয়ার জন্য নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের বিদ্রোহীদের সরে না দাঁড়ালে দলীয় পদন্ডপদবি থেকে বহিষ্কার করার হুমকিতেও কাজ হয়নি। বিদ্রোহীদের এই অনড় অবস্থানের কারণে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর ভোট সংগ্রহের ক্ষেত্রে দারুণ নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আওয়ামী লীগ কাউন্সিলর প্রার্থীদের এই গৃহবিবাদের সুযোগে বিএনপির দলীয় মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ভোটের মাঠে এগিয়ে থাকবেন বলেও মনে করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা।

বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। এখানে যোগ্য লোকের অভাব নেই। তাই একাধিক প্রার্থী থাকলেও বিষয়টি আমাদের জন্য বেশ অস্বস্তিদায়ক। যেহেতু আমি একজন মেয়র প্রার্থী, দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে তাই আমাকে প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে গণসংযোগ করতে হচ্ছে। এতে বিপত্তিটা ঘটছে এবং নানা কারণে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে।

নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রচার সেলের প্রধান ফরিদ মাহমুদ বলেন, বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এটা সরাসরি মেয়র পদে বিজয় লাভের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মনোনয়ন দেওয়ার আগে আগ্রহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের কাছ থেকে যে মুচলেকা নেওয়া হয়েছিল, তারই আলোকে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া অনেক সহজ।

জানা গেছে, ৪১ ওয়ার্ডের মধ্যে আওয়ামী লীগ অনুসারী কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন ৫৫ জন। ফলে ৩৪টি ওয়ার্ডেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। তাদের মধ্যে সদ্য সাবেক কাউন্সিলর রয়েছেন ১১ জন। এ ছাড়া ১৪টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডেও পাঁচজন বিদ্রোহী মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর তালিকায় সদস্য সাবেক কাউন্সিলররা হচ্ছেন- ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের তৌফিক আহমেদ চৌধুরী, ২ নম্বর জালালাবাদে সাহেদ ইকবাল বাবু, ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলীতে জহুরুল আলম জসীম, ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলীতে মোরশেদ আক্তার চৌধুরী, ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডে সাবের আহমেদ সওদাগর, ১৪ নম্বর লালখান বাজারে এফ কবির মানিক, ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদে এইচ এম সোহেল, ২৮ নম্বর পাঠানটুলীতে আবদুল কাদের, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তারেক সোলায়মান সেলিম, ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গিবাজারে হাসান মুরাদ বিপ্লব ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর