বুধবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
সিলেট কুমারগাঁও উপকেন্দ্র

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই দুর্ঘটনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিলেটের কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রে যারা রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন তাদের দায়িত্বহীনতাই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। গত সোমবার অনলাইনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ অগ্নিকান্ডে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনে এককভাবে কাউকে দায়ী করা না হলেও ১৯৬৭ সালে স্থাপিত উপকেন্দ্রটির প্রয়োজনীয় উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন না করা এবং কর্তৃপক্ষের সঠিক পরিকল্পনা ও যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাব রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গত বছরের ১৭ নভেম্বর এ অগ্নিকান্ড ঘটে। অগ্নিকান্ডের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রহমত উল্লাহ্ মো. দস্তগীর তদন্ত প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি গ্রিড বা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাইবার সিকিউরিটি ও ফিজিক্যাল সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করা প্রয়োজন। লোকবলস্বল্পতার দোহাই দেওয়া হয় কিন্তু নিজেদের আপগ্রেড করার বিষয়ে কাউকেই আন্তরিক মনে হয় না। অগ্নিকান্ডের কারণে সিলেট অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য জনগণের যে অবর্ণনীয় কষ্ট ও আর্থিক ক্ষতি হয় তার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তরা দায় এড়াতে পারেন না। তিনি বলেন, গ্রাহকসেবা বৃদ্ধিকল্পে সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে গৃহীত পদক্ষেপগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।

দক্ষতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। দায়িত্ববোধের প্রতি আন্তরিক হলে সব সমস্যাই দ্রুত সবাধান করা সম্ভব। প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এগুলো হচ্ছে- পিজিসিবির নিয়ন্ত্রণাধীন ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের ইকুইপমেন্টসের কন্ট্রোল ও প্রটেকশনের জন্য ডিসি সিস্টেম এবং বিউবোর নিয়ন্ত্রণাধীন ৩৩ কেভি বাস ও ইকুইপমেন্টসের কন্ট্রোল ও প্রটেকশনের জন্য ডিসি সিস্টেম জরুরি ভিত্তিতে সম্পূর্ণ পৃথক করা। ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) স্থাপন। জরুরি ভিত্তিতে গ্রাউন্ডিং সিস্টেম বৃদ্ধি করে যথাযথ মানে উন্নয়ন/সম্প্রসারণ। ভূগর্ভস্থ কন্ট্রোল ক্যাবলিং সিস্টেম জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার। ফল্ট লেভেল নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ১৩২ কেভি ও ৩৩ কেভিতে প্যারালালে সংযুক্ত পাওয়ার ট্রান্সফরমারগুলো জরুরি ভিত্তিতে পৃথক করা। পাওয়ার ট্রান্সফরমার, কারেন্ট ট্রান্সফরমার, পটেনশিয়াল ট্রান্সফরমার, সার্কিট ব্রেকার ইত্যাদি অতি গুরুত্বপূর্ণ ইকুপমেন্ট উচ্চ গুণগতমান সম্পন্ন হওয়া। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে দক্ষ কারিগরি জনবল দ্বারা দেশের সব গ্রিড উপকেন্দ্র পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা এবং জরুরি ভিত্তিতে কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের বিকল্প সোর্স তৈরি করা।

ভার্চুয়াল এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, পিডিবি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন ও পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর