শিরোনাম
শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

এক মাস আগে বিপক্ষে ভোট করা নেতার হাতেই নৌকা

বাঘারপাড়ায় তৃণমূল নেতা কর্মীদের মাঝে হতাশা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

এক মাস আগেও ছিলেন নৌকার বিপক্ষে, প্রকাশ্যে। ঠিক এক মাস পর তার হাতেই তুলে দেওয়া হলো নৌকা। এ ঘটনায় যশোরের বাঘারপাড়া আওয়ামী লীগের পোড় খাওয়া ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। বাঘারপাড়া পৌরসভার মেয়র পদের জন্য আওয়ামী লীগের টিকিট পেলেন সেই কামরুজ্জামান বাচ্চুই। গত ১০ ডিসেম্বর বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন হয়। এতে নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ভিক্টোরিয়া পারভীন সাথী। নৌকার বিরুদ্ধে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগেরই দিলু পাটোয়ারী। এই নির্বাচনে বাঘারপাড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চু প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দিলু পাটোয়ারীর পক্ষ নেন এবং তার পক্ষে ভোট করেন। তার ওই আচরণে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

এসবের পরিপ্রেক্ষিতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও বিষয়টি দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়কে অবহিত করা হয় এবং স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দেওয়া হয়।

 স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি বরাবর লিখিত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, মেয়র করায় বাচ্চু বাঘারপাড়া উপজেলার উপনির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থীর বিপক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করায় বাঘারপাড়া পৌর আওয়ামী লীগ ও বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতারা এবারের পৌর নির্বাচনে মেয়র পদের জন্য জুলফিকার আলী জুলাইয়ের নাম প্রস্তাব করেছেন। সে অনুযায়ী যশোর জেলা আওয়ামী লীগও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জুলফিকার আলী জুলাইয়ের নাম প্রস্তাব করছে।

এই চিঠিতে বাঘারপাড়া পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের একমাত্র প্রার্থী হিসেবে বাঘারপাড়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার আলী জুলাইয়ের নাম প্রস্তাব করা হয়। তিনি বর্তমানে এই পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। কিন্তু সেই কামরুজ্জামান বাচ্চুকেই আবার প্রার্থী মনোনীত করা হয়েছে।

ছাত্র অবস্থাতেই আওয়ামী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া জুলাই ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বাঘারপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ১৯৯৮ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত। তিনি এখন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক (১)।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর