শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

খুলনায় স্বাস্থ্য বিভাগের রাঘববোয়ালরা আতঙ্কে

বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের কর্মচারী স্ত্রীসহ কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগে দরপত্র বাণিজ্য ও অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে দুদকের মামলায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের কর্মচারী (স্টেনোগ্রাফার) ফরিদ আহমেদ মোল্লা ও তার স্ত্রী পলি আহমেদকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। একই সময় আউটসোর্সিং নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। জানা যায়, বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের স্টেনোগ্রাফার ফরিদ আহমেদ মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি, প্রমোশন ও নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত। তার বিরুদ্ধে মুজগুন্নি আবাসিক এলাকায় বিলাসবহুল বাড়ি, নগরীর বয়রা এলাকায় তার স্ত্রীর নামে ক্রোকারিজের দোকান ‘মেসার্স পলি এন্টারপ্রাইজ’সহ অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার মজিবর রহমান জানান, ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর ফরিদ আহমেদ মোল্লা ও তার স্ত্রীর নামে আয়বহির্ভূত ৩৩ লাখ ৩৫ হাজার ২০৪ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক ফয়সাল গাজী তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর বাদী হয়ে এ মামলা করেন। গতকাল ফরিদ আহমেদ ও তার স্ত্রী খুলনা মহানগর বিশেষ দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান। মামলায় এতদিন তারা দুজনই উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন। এদিকে ফরিদ আহম্মেদের কারাগারে যাওয়ার খবরে স্বাস্থ্য বিভাগে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।  অন্যদিকে খুলনা জেলায় সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আউটসোর্সিং নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে জেলা সিভিল সার্জন অফিসে অভিযান চালান দুদকের কর্মকর্তারা। দুদক সমন্বিত কার্যালয়, খুলনার উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান জানান, খুলনার স্বাস্থ্য বিভাগের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে দুদকের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর