শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

রাবি উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে আলটিমেটাম

রাবি প্রতিনিধি

রাবি উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়াসহ প্রশাসনের সব ‘দুর্নীতিবাজ’ কর্মকর্তার অপসারণ চেয়ে সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও রাকসু আন্দোলন মঞ্চ।

 গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে এই আল্টিমেটাম দেন তারা।

প্রশাসনের ‘দুর্নীতিবাজ’ কর্মকর্তাদের অপসারণ না করা পর্যন্ত সব ধরনের নিয়োগ স্থগিত রাখার জন্য সংবাদ সম্মেলনে দাবি জানানো হয়। সাত দিনের মধ্যে তাদের দাবি না মানলে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও আন্দোলনে’ লাগাতার কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

সম্মেলনে রাবি শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের প্রশাসনের যে কোনো দায়িত্বে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় আর এক দিনেও চলতে পারে না। এত বড় অপরাধ করার পর তাদের শিক্ষকতা করারও কোনো নৈতিক অধিকার নেই। তাই দ্রুত উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অপসারণ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, কিছুদিন আগে বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু প্রমাণিত দুর্নীতিবাজ ভিসি ও প্রো-ভিসি কোনো অদৃশ্য শক্তির কারণে এখনো স্বপদে বহাল আছেন তা আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। অনিয়ম ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে।

সম্মেলনে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা উল্লেখ করেন, ‘অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’-এর ব্যানারে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বিশ^বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন ব্যক্তির অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন চলে আসছে। শিক্ষার্থীদের এই ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইউজিসিকে তদন্ত করার ভার দেয়। ইউজিসির তদন্ত কমিটি সরেজমিন দুই দফা তদন্ত করে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারসহ বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২৫টি অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পায়। তদন্ত কমিটি ২০ ও ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রতিবেদনটি জমা দেয়। তদন্ত প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত বিভিন্ন প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়মের জন্য উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে দায়ী করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর