নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। গতকাল নগরীর ১৬ নম্বর চকবাজার এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি এ দাবি জানান। ডা. শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র জমা নেয় এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। কিন্তু চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন সামনে রেখে অস্ত্র জমা কিংবা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের ঝনঝনানী শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে পাঠানটুলী ও বাকলিয়া নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের ঝনঝনানীতে শঙ্কিত সাধারণ ভোটার। তাই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সাঁড়াশি অভিযান চালানোর দাবি করছি।’ প্রচারণার শুরুতে চকবাজার ধনিরপুল ডিসি রোড়ে মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন ডা. শাহাদাত। পরে তিনি চকবাজার ওয়ার্ডের গণসংযোগ শুরু করে সিরাজউদৌলা রোড়, চন্দনপুরা, গনি বেকারি, কলেজ রোড, অলি খাঁ মসজিদ মোড়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও সেভরন এলাকা, পাঁচলাইশ  বড় গ্যারেজ, কাতালগঞ্জ হয়ে তেলিপট্টি মোড় এলাকায় গিয়ে শেষ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, কাজী বেলাল উদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জেলী চৌধুরী, মো. সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল ছগির প্রমুখ।

এরআগে সকালে বিভাগীয় শ্রমিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারীর মধ্যে বিপর্যস্ত পুরো দেশ। শ্রমিকরা ঠিকমতো বেতন পাচ্ছেন না। শ্রমিকদের অধিকারও সুপ্রতিষ্ঠিত নয়। সবাই নিরাপত্তাহীন ও ন্যায্য মজুরি বঞ্চিত। মেয়র নির্বাচিত হলে শ্রমিকদের নিরাপত্তা, চাকরি এবং বেতনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।’ এ সময় বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, শ্রমিক দল নেতা শেখ নুরুল্লাহ বাহার, শ ম জামাল, শামসুল আলম, ইদ্রিস মিয়া প্রমুখ।