শনিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

কাউন্সিলরদের ভোটের ‘ফ্যাক্টর’ ছোট দল!

বড় দলের কাউন্সিলর প্রার্থীরা ছোট দলমুখী

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ভোটের মাঠে বড় দুই দলের সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভোটের ‘ফ্যাক্টর’ ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মী। ভোটের জয়-পরাজয়ের বিষয়ে নানাভাবে টেনশনে রয়েছেন বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীরা। দুই দলের কাউন্সিলর প্রার্থীদের পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রতিটি ওয়ার্ড-পাড়ামহল্লা মেয়র পদে নৌকা-ধানের শীষের প্রার্থীদের জন্যও ভোট চেয়ে চষে বেড়াচ্ছেন। প্রচারণায় থেমে নেই ছোট দলগুলোর মেয়র প্রার্থীরাও। মেয়র পদে ছোট দলগুলোর প্রার্থী থাকলেও কাউন্সিলর প্রার্থী না থাকায় তাদের ভোটার বা সমর্থকদের কাছে টানতে নানা কৌশলে কাজ করছেন বড় দুই দলের কাউন্সিলর প্রার্থী ও দলীয় নেতা-কর্মীরা। সাবেক কাউন্সিলর ও সংগঠক জামাল হোসেন বলেন, বড় দলগুলো ভোটযুদ্ধে থাকবে কাছাকাছি। বড়গুলোর মতো ছোট দলগুলোরও নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে। কাউন্সিলর পদে এসব ভোট হবে ফ্যাক্টর। মেয়র পদে বড় দুই দলের মতো নিজেদের প্রার্থী থাকলেও কাউন্সিলর পদে নেই। এতে ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে ঝুঁকছেন পুরুষ ও মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তবে এখানে যোগ্য ও ত্যাগী কাউন্সিলর প্রার্থীদের মূল্যায়নের পাশাপাশি কিছু কিছু ক্ষেত্রে টাকার খেলাও চলতে পারে বলে জানান তিনি। একই কথা বললেন একাধিক সাধারণ ভোটার। চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ ও মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী নির্বাচনী সেলের প্রধান সমন্বয়কারী মাহমুদ বলেন, প্রতিটি দলের একটা কৌশল থাকে। নানা কৌশলে নির্বাচনের তৎপরতা চালিয়ে যায়। আওয়ামী লীগ একটা বড় দল। এখানে ছোট দলগুলোর মেয়র প্রার্থী থাকলেও কাউন্সিলর পদে কোনো প্রার্থী নেই। এসব দলের ওয়ার্ড পর্যায়ে কোনো সাংগঠনিক কমিটিও হয়তো নেই। এ ক্ষেত্রে অনেক রাজনৈতিক দল নানা কৌশলী ভূমিকাও রাখে বলে জানান তিনি। আওয়ামী লীগ মনোনীত ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো. মোবারক আলী বলেন, দীর্ঘকাল ধরেই এ ওয়ার্ডে সাধারণ মানুষের সেবাসহ নানাবিধ উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছি। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষায় এলাকাবাসী দল-মত নির্বিশেষে মূল্যায়ন করবেন আশা করছি। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী ওয়াহেদ মুরাদ বলেন, নগরের ৪১টি ওয়ার্ড ও থানায় সাংগঠনিক কমিটি থাকলেও প্রতিটি ওয়ার্ডেই উপযুক্ত প্রার্থীও ছিল। রাজনৈতিক কৌশলগত কারণে কাউন্সিলর প্রার্থী দেওয়া হয়নি। এখানে দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভোট দেবেন নেতা-কর্মীরা। মেয়র পদে নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার সাংগঠনিক অবস্থান এবং বাবার পরিচিতি ও সুনাম- এ দুটিসহ নানাবিধ পজিটিভ বিষয় নিয়ে জয়লাভে আশাবাদী। দলীয় ও নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চসিক নির্বাচনে এবার মেয়র পদে সাতজন লড়ছেন। এর মধ্যে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন আওয়ামী লীগের মো. রেজাউল করিম চৌধুরী আর বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন। অন্যদিকে ছোট চারটি দলের প্রার্থী রয়েছেন ইসলামিক ফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদ মুরাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি জান্নাতুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব এম এ মতিন ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আবুল মনজুর। অন্যজন হচ্ছেন স্বতন্ত্র খোকন চৌধুরী।

 এবার নগরের ১৪ সংরক্ষিত ও ৪১ সাধারণ ওয়ার্ডে ছোট দলগুলোর কোনো কাউন্সিলর প্রার্থী নেই। চসিক নির্বাচনে এবার মেয়র প্রার্থীসহ ২২৬ জন অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে সাতজন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৩ আর সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭২ জন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর