শনিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে আট বছর ধরে ‘অলস’ পড়ে আছে ১০ হাজার পাসপোর্ট

বারবার চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও আসছেন না আবেদনকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

সাইফুল মালেক। নগরীর কোতোয়ালি থানা এলাকায় তার বাড়ি। ৩ হাজার ৪৫০ টাকা অরিডিনারি (সাধারণ) ফি জমা দিয়ে ২০১৬ সালে জুন মাসের শেষ সপ্তাহে পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা দিয়েছিলেন। পরে পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে মাসখানেকের মধ্যে ঢাকা  থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টটি (এমআরপি) প্রস্তুত হয়ে পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। এই পাসপোর্ট এখনো পড়ে আছে অফিসে। এভাবেই চট্টগ্রামের দুটি পৃথক পাসপোর্ট অফিসে দীর্ঘ আট বছর ধরে ‘অলস’ পড়ে আছে মেয়াদোত্তীর্ণসহ প্রায় ১০ হাজার মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি)। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকলেও আবেদনকারীরা না নেওয়ায় পাসপোর্টগুলোর স্তূপে জমে যাচ্ছে ময়লাও। পৃথক পাসপোর্ট অফিসের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় আঞ্চলিক পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে ২০১৩ সাল থেকে মেয়াদোত্তীর্ণসহ এমআরপি পাসপোর্ট প্রায় ৫ হাজার, চান্দগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ৫ হাজারের উপরে পাসপোর্ট পড়ে আছে বিভিন্ন অফিসে। দীর্ঘ বছর ধরেই পড়ে থাকা এসব পাসপোর্ট নেওয়ার জন্য স্ব স্ব কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার চিঠি দিলেও কোনো ধরনের উত্তর এখনো পাননি বলে জানান দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। চট্টগ্রাম বিভাগীয় আঞ্চলিক পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মো. আবু সাঈদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দীর্ঘ বছর ধরেই পড়ে থাকা ৪ হাজার ৯৯৫টি পাসপোর্টের মধ্যে ৬০০ এর উপরে রয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ। এদের মধ্যে ২০১৩ সাল থেকে ২০২০ সালের পাসপোর্ট রয়েছে। এসব পাসপোর্টের বিষয়ে আবেদনকারীদের বরাবরে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও কোনো ধরনের উত্তর পায়নি। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে,  চট্টগ্রাম বিভাগীয় আঞ্চলিক পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস এবং চান্দগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমে থাকা আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও, কোতোয়ালি, চকবাজার, বাকলিয়া, কর্ণফুলী থানা, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, আনোয়ারা, পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, বাঁশখালী ও লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর