ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই ফেরত এক যাত্রীর পেট থেকে ৮টি সোনার বার উদ্ধার করেছে ঢাকা কাস্টমস হাউসের প্রিভেন্টিভ টিম। তারা জানান, উদ্ধার করা সোনার মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা। কাস্টমস জানায়, প্রথমে ওই যাত্রীকে সন্দেহ করা হলেও তিনি সোনা থাকার কথা অস্বীকার করেন। তবে মেটাল ডিটেক্টরে তার শরীরে ‘ধাতব’ থাকার প্রমাণ মেলে। এরপর যাত্রীর পেটে এক্সরে করে ৮টি সোনার বার থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। গোলাম মোহাম্মদ নামের সোনা বহন করা এই যাত্রী গত রবিবার রাত ১১টায় দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারওয়েজের ইকে-৫৮৪ ফ্লাইটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাজ শেষ করে তিনি লাগেজ নিয়ে গ্রিন চ্যানেল হয়ে বেরিয়ে যেতে থাকেন। এ সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা তার গতিবিধি দেখে সন্দেহ করেন। তারা যাত্রীকে চ্যালেঞ্জ করেন। ঢাকা কাস্টমস হাউসের প্রিভেন্টিভ টিমের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নাঈম ইসলাম জানান, ওই যাত্রী প্লেনের ১৮-ই নম্বর সিটে ছিলেন। তার বিষয়ে কাস্টমসে আগে থেকেই তথ্য ছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতে যাত্রী ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার পর তাকে আটকে ফেলেন কাস্টমসের সদস্যরা। প্রথমেই তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, তার কাছে কোনো সোনা বা সোনার বার আছে কিনা?
তিনি অস্বীকার করে বলেন, ‘কিছুই নেই।’
উদ্ধারকৃত সোনার মোট ওজন ১ কেজি ১৬০ গ্রাম। পাশাপাশি তার কাছ থেকে আরও ৬টি সোনার চুড়ি, ১ জোড়া সোনার কানের দুল (২ গ্রাম), ৫টি নতুন মোবাইল হ্যান্ডসেট উদ্ধার করা হয়। কাস্টমস জানায়, আটককৃত সোনা ও পণ্যের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা। তার বিরুদ্ধে ১৯৬৯ সালের দ্য কাস্টমস অ্যাক্টে বিমানবন্দর থানায় মামলা কওে গেস্খফতার দেখানো হয়েছে।