দ্রুত ক্লাস শুরু করা, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়াসহ চার দাবিতে শাহবাগে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকাল ১০টা থেকে সোয়া ১টা পর্যন্ত জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন রাজধানীর বিভিন্ন কারিগরি কলেজ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে স্মারকলিপিও দেন তারা। তাদের দাবির মধ্যে আছে- করোনার কারণে সৃষ্ট এক বছর ‘লস’ হওয়া ঠেকানো; প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম পর্বের ক্লাস চালু করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া; অতিরিক্ত সব ফি প্রত্যাহার ও বেসরকারি পলিটেকনিকে সিমেস্টার ফি ৫০ ভাগ মওকুফ এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আসন বাড়ানো। সকাল ১০টায় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়ে শতাধিক কারিগরি শিক্ষার্থী চার দফা দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। শিক্ষার্থী নাঈম খান বলেন, ‘কোনোভাবেই আমরা এক বছর ইয়ার লস করতে চাই না। আমাদের দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ পর্বের তাত্ত্বিক বিষয়গুলো ছেড়ে দেওয়া হোক এবং ব্যবহারিক পরীক্ষাগুলো পরবর্তী পর্বের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হোক। দ্রুত প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম পর্বের ক্লাস শুরু করা হোক এবং সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হোক। এতে আমাদের ইয়ার লস লাঘব হবে।’ তিনি বলেন, ‘দেশের অনেক শিক্ষার্থী বেসরকারি পলিটেকনিকে পড়াশোনা করেন।

 তাদের সিমেস্টার ফি ক্ষেত্রভেদে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা এসেছে। দেখা গেছে কেউ আজকে ফরম ফিলাপ না করলে পরীক্ষা দিতে পারবেন না। বিন্তু টাকার জন্য সেটা করতে পারছেন না। আর করোনার মধ্যে এত টাকা অনেকের পক্ষে দেওয়া কষ্টকর। এদিকে কলেজগুলো এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দিচ্ছে না। তাই অতিরিক্ত ফি ও বেসরকারি পলিটেকনিকের সিমেস্টার ফি ৫০ ভাগ মওকুফ করতে হবে। এ ছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে ডুয়েটসহ দেশের সব প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের জন্য আসন বাড়াতে হবে।’