বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ ডিএজি রূপাকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘুষ নিয়ে আসামির জামিন করানো ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক অনুসন্ধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলে দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন। বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক। কাউকে জামিন দেওয়া একমাত্র আদালতের এখতিয়ার।

তিনি বলেন, সরকারি আইনজীবীদের কথায় আদালত কাউকে জামিন দেয় না। জামিন দেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র আদালতের। জামিন দেওয়ার বিষয়ে বিচারকগণ স্বাধীন। আদালতের বিচারকগণ      মামলার গুণাগুণ বিচার করে জামিন দিয়ে থাকেন। এখানে এএজি বা ডিএজির কথায় জামিন দেওয়ার নজির সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে নেই। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, তা মিথ্যা, বানোয়াট ও প্রোপাগান্ডা, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই বিষয়টি আমি লিখিতভাবে দুদককে জানিয়েছি।

এর আগে ডিসেম্বর মাঝামাঝিতে নোটিস পাঠিয়ে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে রূপাকে তলব করে দ্বিতীয়বারের মতো নোটিস পাঠান অনুসন্ধান কর্মকর্তা। এতে জিজ্ঞাসাবাদের দিন রূপাকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের কপি সঙ্গে আনতে বলা হয়। এর আগে একই অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ নভেম্বর রূপাকে তলব করেছিল দুদক। কিন্তু এই জিজ্ঞাসাবাদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রূপা। শুনানি শেষে ৩ ডিসেম্বর রিট আবেদনটি খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। ওই সময় রূপা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত থাকায় দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেয় আদালত। গত ২৮ অক্টোবর নোটিস পাঠিয়ে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম ডিএজি রূপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ নভেম্বর দুদকে হাজির হতে বলেছিলেন। নোটিসে বলা হয়, রাষ্ট্রের এই আইন কর্মকর্তা বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ করে জি কে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সঙ্গে আঁতাত করে জামিন করিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে দুদকের কাছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর