বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

শতবর্ষে বিশেষ মর্যাদা প্রাপ্তির প্রত্যাশা ঢাবির

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

শতবর্ষে বিশেষ মর্যাদা প্রাপ্তির প্রত্যাশা ঢাবির

শত বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্র কর্তৃক ‘বিশেষ মর্যাদা’ প্রদানের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বতন্ত্র মর্যাদার অধিকারী। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিকল্পনায় একে ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে  ঘোষণা করার বিষয়টি ছিল। তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও আমাদের এই প্রত্যাশা থাকবে।

গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রত্যাশার কথা জানান উপাচার্য। শত বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ছয়টি আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল সম্মেলনের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সম্পর্কে জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ও সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। এ সময় উপাচার্য বলেন, এই প্রত্যাশা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের দীর্ঘদিনের। নানা মানদন্ডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বতন্ত্র মর্যাদার অধিকারী। জাতির পিতা এই বাস্তবতা যথার্থভাবে অনুধাবন করেছিলেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য পঁচাত্তরে আমরা তাঁকে হারিয়েছি। বিশেষ মর্যাদা প্রদান করা একটি প্রক্রিয়ার ব্যাপার। এটি জাতির পক্ষে রাষ্ট্রকে দিতে হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শত বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ছয়টি আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল  সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। অতিমারীর কারণে যেগুলোকে ‘ওয়েবিনার’ বলা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় এসব সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শেখ হাসিনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হবেন।  

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হওয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি তাঁর বাসা থেকে যুক্ত হবেন। এ ছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত থাকবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের ফেসবুক লাইভে শিক্ষার্থীরা এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রথম ভার্চুয়াল সম্মেলন শুরু হবে উদ্বোধনের পরদিন শুক্রবার থেকে। এরপর জুন পর্যন্ত প্রত্যেক মাসে একটি করে ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হবে। এগুলোর ব্যাপ্তি হবে তিন দিনের। এতে দেশ-বিদেশের প্রায় দুই শতাধিক অতিথি অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়াও ১২-১৪ জুলাই লন্ডনে একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের আয়োজন করা হবে। কনফারেন্স উদ্বোধনের জন্য যুক্তরাজ্যের প্রিন্সেস অ্যান এলিজাবেথকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

উপাচার্য বলেন, আমাদের রূপকল্প বক্তব্য হলো ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি’। এসব ওয়েবিনার থেকে এ সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর