রাজশাহীতে মোটরসাইকেলের কাগজ দেখতে চাওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টের ওপর হামলাকারী যুবক বেলাল হোসেন (২৬) গ্রেফতার হয়েছেন। বাসে পালানোর সময় বুধবার রাত ১টার দিকে নাটোর মাদরাসা মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) একটি দল এ অভিযান চালায়। বেলালকে গ্রেফতারের পর গতকাল বেলা ১১টায় আরএমপি কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ২২ বছরের চাকরি জীবনে একজন অফিসারকেও এমন নৃশংস মারধরের ঘটনা দেখিনি। এটা ব্যতিক্রমধর্মী, অস্বাভাবিক। সে (বেলাল) পলাতক ছিল। একটা মামলা হয়েছে।
আমরা আরএমপির বোয়ালিয়া জোনের উপ-কমিশনারের নেতৃত্বে একটা টিম গঠন করি। সে টিম রাত ১টার দিকে বেলালকে গ্রেফতার করে।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘কর্মকর্তাকে সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও হত্যাচেষ্টাসহ অন্যান্য ধারায় মামলা হয়েছে। আমাদের অফিসার খুব খারাপ অবস্থায় ছিলেন। যেসব ধারা কাভার করে আমরা সেসব ধারায় মামলা করেছি। এখন আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করব তার উত্তেজিত হওয়ার কারণ কী। সে মাদকাসক্ত ছিল কি না। তার অতীতে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আছে কি না তাও দেখব। আমরা তার সবকিছু খতিয়ে দেখব।’সংবাদ সম্মেলনে আরএমপির বোয়ালিয়া জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজিদ হোসেন, শাহ মখদুম জোনের ডিসি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার নগরীর বিলশিমলা ঐতিহ্য চত্বরে বিপুল কিশোর নামে এক ট্রাফিক সার্জেন্ট দায়িত্ব পালন করছিলেন। হামলাকারী বেলাল ওই সময় হেলমেট ছাড়া একটি মোটরসাইকেল চালিয়ে আসছিলেন। সার্জেন্ট বিপুল তার মোটরসাইকেলের কাগজ দেখতে চান। একই সঙ্গে হেলমেট না থাকার কারণে তিনি মামলা লিখতে শুরু করেন। এ সময় সার্জেন্টের সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়ান বেলাল। হঠাৎ পাশের ফার্নিচারের দোকান থেকে চেলাকাঠ নিয়ে এসে তার ওপর হামলা করেন। এতে সার্জেন্ট বিপুল গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই রাজপাড়া থানায় বেলালকে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা করেন সার্জেন্ট বিপুল। ঘটনার দুই দিন পর বেলালকে গ্রেফতার করা হলো। তার বাড়ি নগরীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়ায়। বাবার নাম (মৃত) শামসুল হক। বেলাল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
