শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

বিএনপির মুখে উদ্ভ্রান্তের প্রলাপ : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতের উপহার ২০ লাখ ভ্যাকসিন দেশে পৌঁছেছে। আর সরকারের সাফল্যে এখন বিএনপির মুখে উদ্ভ্রান্তের প্রলাপ। গতকাল সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরাম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে  তিনি একথা বলেন।  তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে করোনার টিকা চলে এসেছে এবং এটি উপহার হিসেবে ভারত সরকার দিয়েছে। এ জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, এ নিয়ে বিএনপির বক্তব্য তাদের যে মানসিকতা তুলে ধরে, তা হলো- অপছন্দের প্রতিবেশীর কোনো ভালোই দেখতে না পারা এবং সবসময় অমঙ্গল কামনা করা। এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদক ফোরামের উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন এ সময় ফোরামের বক্তব্য তুলে ধরেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি আশা করেছিল, দেশ এই করোনা মহামারী সামাল দিতে পারবে না, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সেটি সামাল দিয়েছেন এবং বিশ্বব্যাপী তার এই নেতৃত্ব প্রশংসিত হয়েছে। উপমহাদেশে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা সবার ওপরে, সমগ্র পৃথিবীতে ২০তম।

বৈঠকে সম্পাদক ফোরামের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়, ই-টেন্ডারিংয়ের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞাপনসহ সব সরকারি বিজ্ঞাপন জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে ২টি এবং জাতীয় পর্যায়ে ৬টি বাংলা ও ২টি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশের ব্যবস্থা, নামসর্বস্ব ও অনিয়মিত পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র প্রদান বন্ধ ও তাদের মিডিয়া তালিকাভুক্তি বাতিলের। ডিএফপির তালিকানুসারে ক্রোড়পত্র প্রদান ও যেসব জাতীয় দৈনিক ঢাকার দুই সংবাদপত্র হকার্স সমিতিতে বিতরণ ও বিক্রির জন্য দেওয়া হয় সেগুলো ছাড়া অন্য পত্রিকায় সরকারের বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র প্রদান বন্ধ করারও দাবি জানান তারা।

ফোরাম নেতারা সংবাদপত্রের প্রচার সংখ্যা নির্ধারণ ব্যবস্থা সংশোধন ও একটি কমিটির তদারকির মাধ্যমে করা, সরকারি বিজ্ঞাপনের বিল তিন মাসের মধ্যে পরিশোধের ব্যবস্থা, দীর্ঘ বকেয়া বিল পরিশোধের উদ্যোগ, বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপনা বিকেন্দ্রীকরণ ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কমিটিতে সম্পাদক ফোরামের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান। সম্পাদকের শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম স্নাতক ও ১৫ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতার সনদ যাচাই করে পত্রিকার ডিক্লারেশন দেওয়া ও পত্রিকার সম্পাদক বা ভারপ্রাপ্ত সম্পাদককে পূর্ণকালীন সাংবাদিক থাকা ও পত্রিকার প্রকৃত সার্কুলেশন যাচাই করে মিডিয়া তালিকাভুক্ত করার দাবি তুলে ধরে ফোরাম।

জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত সনদ ছাড়াও অনেক স্বশিক্ষিত প্রতিভাবান সাংবাদিক দেশে রয়েছেন, যাদের সম্পাদক হওয়ার যোগ্যতাও রয়েছে, যা বিবেচনাযোগ্য। অন্য দাবিগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।

বৈঠকে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরাম সদস্যদের মধ্যে ফারুক আহমেদ তালুকদার, রিমন মাহফুজ, দুলাল আহমদ চৌধুরী, মফিজুর রহমান খান বাবু, কাজী নাছির উদ্দিন বাবুল, মীর মনিরুজ্জামান, এস এম মাহবুবুর রহমান, নাজমুল আলম তৌফিক, মাহমুদ আনোয়ার হোসেন, মো. আশ্রাফ আলী, নাসিমা খান মন্টি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর