রবিবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

বন্ড মার্কেট ও শেয়ারবাজার শক্তিশালী চান ব্যবসায়ীরা

মিট দ্য প্রেসে ডিসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করতে বন্ড মার্কেটের পাশাপাশি শেয়ারবাজারকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-ডিসিসিআই। দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিতে উদ্যোক্তাদের বন্ড মার্কেট থেকে টাকা তোলা উচিত। এতে বন্ড মার্কেটের পাশাপাশি পুঁজিবাজারও শক্তিশালী হবে। গতকাল মতিঝিলের চেম্বার ভবনে মিট দ্য প্রেসে এসব কথা বলেন সংগঠনটির নবনির্বাচিত সভাপতি রিজওয়ান রাহমান। উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআইর ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এন কে এ মবিন, সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন, পরিচালক শাহিদ হোসেন, গোলাম জিলানী, হোসেন এ সিকদার ও নাসিরউদ্দিন এ ফেরদৌস। রিজওয়ান রাহমান প্রশ্নোত্তর পর্বে বলেন, সরকার-ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের ৫৪ দশমিক ১৩ শতাংশ ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এ ঋণ বিতরণ প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। তিনি দেশের কুটির ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তার লক্ষ্যে বিশেষ ব্যাংক অথবা ‘এসএমই বন্ড’ প্রবর্তনের প্রস্তাব করেন। কুটির, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র শিল্পকে মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পের সংজ্ঞায় আলাদা করার প্রস্তাব করেন। যার মাধ্যমে কুটির, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র শিল্পের সার্বিক সহায়তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া এসএমই নীতিমালার পরিবর্তে ‘এসএমই ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’ প্রবর্তনের প্রস্তাব করেন, যার মাধ্যমে এ খাতের প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী বৈদেশিক বিনিয়োগ কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ পরিস্থিতিরও রাতারাতি পরিবর্তন হবে না। এ অবস্থায় দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রদত্ত সুবিধা স্থানীয় উদ্যোক্তাদের প্রদানের প্রস্তাব করেন। তিনি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য ‘ইকোনমিক ডিপ্লোম্যাসি’র আরও বেশি হারে গুরুত্ব প্রদানের ওপর জোর দেন। এ লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে।

প্রাচীন বাণিজ্য সংগঠন ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশ বিদ্যমান বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা হারাবে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদানের সময়সীমা বাড়ানোর দাবি উপস্থাপন করা যেতে পারে বলে মত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, একই সময়ে বৈদেশিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক সূচকসমূহে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নয়নে সরকার ও বেসরকারি খাতকে একযোগে কাজ করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর