বুধবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

কাগজেই সীমাবদ্ধ উন্নয়ন-অঙ্গীকার

ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি রাখেননি কোনো মেয়রই

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ২০১০ সালের ১৭ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী জলাবদ্ধতা নিরসনসহ নগর উন্নয়নে ৪০ দফা এবং বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম মনজুর আলম ১৭টি দফা সংবলিত ইশতেহার প্রকাশ করেন। কিন্তু নগরের চেহারার কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে করছেন না নগরবাসী। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল পঞ্চম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিনের ইশতেহারের প্রথম অধ্যায় ‘জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি’ শীর্ষক শিরোনামে পাঁচটি সুপারিশসহ ৩৬ পৃষ্ঠার এবং বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনজুর আলম ৮৯টি দফার ইশতেহার প্রকাশ করেন। কিন্তু অভিযোগ আছে, নির্বাচনের পর ইশতেহারের প্রতিশ্রুত উন্নয়ন দাবিগুলো উপেক্ষিতই থেকে যায়। আলোর মুখ দেখে না অধিকাংশ প্রতিশ্রুতিই। কাগজেই সীমাবদ্ধ উন্নয়ন-অঙ্গীকার। নির্বাচিত মেয়ররা ব্যস্ত থাকেন রুটিনবদ্ধ কাজে। ফলে নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি একটি রুটিন কর্মসূচিতে রূপ নিয়েছে। সর্বশেষ গত ২৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী নগর উন্নয়নে ৩৭ দফা এবং বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ৯টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সদস্য সচিব এইচ এম মুজিবুল হক শুক্কুর বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়, মেয়র আসেন মেয়র যান, কিন্তু নগর উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিগুলোর প্রায়ই অধরাই থেকে যায়। আমরা চাই, নগর উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো আলোর মুখ দেখুক।’ জানা যায়, ১৯৯২ সালে চসিক মিউনিসিপ্যাল থেকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত হয়। পরে ১৯৯৪ সালের প্রথম, ১৯৯৯ সালের দ্বিতীয়, ২০০৫ সালের তৃতীয়, ২০১০ সালের ১৫ মে চতুর্থ এবং ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল পঞ্চম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি নির্বাচনেই প্রধান দুই দলের মেয়র পদের প্রার্থীদের ইশতেহারে অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল বর্ষা মৌসুমে নগরবাসীর কপাল লিখন খ্যাত জলাবদ্ধতা ও যানজট নিরসন। কিন্তু এতদিন সময় পার হওয়ার পরও জলাবদ্ধতা নিরসন হয়নি। সঙ্গে আছে যানজট। বেদখল হয়ে আছে ফুটপাথ। বেহাল অবস্থা খাল, নালা-নর্দমা ও ড্রেনের। প্রসঙ্গত, আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৬ষ্ঠ চসিক নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭২ জন ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৫৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে নারী ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন এবং পুরুষ ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন। ৪১টি ওয়ার্ডে ভোট কেন্দ্র আছে ৭৩৫টি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর