শিরোনাম
বুধবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

আইনেই খর্ব সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) ১৯৮৯ সালের আগ পর্যন্ত নির্বাচিত কমিশনারদের সঙ্গে সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের জন্য ‘অফিশিয়াল কমিশনার’ (সেবা সংস্থার প্রধান) নামে একটি পদ ছিল। আইনি বাধ্যবাধকতায় তখন মাসিক সাধারণ সভায় অফিশিয়াল কমিশনাররা উপস্থিত থাকতেন। সমন্বয় করা হতো সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে। পরে অফিশিয়াল কমিশনার পদটি বাতিল হয়ে যায়। ফলে চসিকের সাধারণ সভায় অফিশিয়াল কমিশনারদের উপস্থিতি ও বাধ্যবাধকতা না থাকায় সেবা সংস্থাগুলোর কাছে সাধারণ সভার গুরুত্ব কমে যায়। কার্যত এর পর থেকেই খর্ব হয়ে আছে সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের বিষয়টি। তবে ২০২৬ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে মেয়রকে দায়িত্ব দেয়। জানা যায়, মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন অর্ডিন্যান্স মতে, সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কাজের সমন্বয় করতে প্রধান প্রধান সেবা সংস্থার প্রধানকে অফিশিয়াল কমিশনার বলা হতো। এর মধ্যে ছিলেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্র্রধান প্রকৌশলী, স্বাস্থ্য অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার। আইন অনুযায়ী প্রতি মাসের সাধারণ সভায় তাদের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু ১৯৯৩ সালের শেষ দিকে চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে জাতীয় সংসদে অফিশিয়াল কমিশনার পদটি বিলুপ্ত করে আইন প্রণয়ন করা হয়। ১৯৯৪ সালের ৩০ জানুয়ারি একযোগে চট্টগ্রামসহ চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনষ্ঠিত হয়। পরে বিভিন্ন সময় স্থানীয় সরকার কর্তৃক করপোরেশন আইন সংশোধন হলেও অফিশিয়াল কমিশনার পদ সৃষ্টি হয়নি। কার্যত তখনই মেয়রের আইনগত কর্তৃত্ব খর্ব হয়ে যায়। বিলুপ্ত হয় নগর উন্নয়নে সমন্বয়ের পদ্ধতি।

চসিকের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অফিশিয়াল কমিশনার পদটি বিলুপ্তির ফলে চসিক মেয়রের ক্ষমতাও খর্ব হয়ে যায়। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারের অন্যতম প্রতিষ্ঠান সিটি করপোরেশনকে শক্তিশালী করতে উদ্যোগ জরুরি।

জানা যায়, আ জ ম নাছির উদ্দিন মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর নগরের প্রধান সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের উদ্যোগ নেন। এ নিয়ে তিনটি সমন্বয় সভা করে সবার কাছে নাগরিক সেবার প্রত্যাশাও কামনা করা হয়। কিন্তু এসব নাগরিক সেবা পূরণে সেবা সংস্থাগুলোর প্রত্যাশিত আগ্রহ দেখা যায়নি। ফলে পরে আর সমন্বয় সভাও হয়নি। সমন্বয়হীনতা দেখা দেয় উন্নয়নকাজে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর