বুধবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও শক্তিশালী অংশীদারি চায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে ওয়েবিনার

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী অংশীদারি প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ। গতকাল বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে এক ওয়েবিনারে এ মনোভাব উঠে এসেছে সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবের বক্তব্যে। বেসরকারি থিঙ্কট্যাঙ্ক বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট এই আলোচনার আয়োজন করে। ওয়েবিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে বাংলাদেশ বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়। এই সম্পর্ক উভয়ের অভিন্ন গণতান্ত্রিক নীতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও ব্যক্তি স্বাধীনতার  জোরালো ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতি করতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রকে বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গত এক দশক ধরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। আমি আশা করি নতুন মার্কিন প্রশাসন এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে কারণ আমরা উভয় দেশই বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাস করি। প্রকৃতপক্ষে রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যাবাসন বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে একটি গেম চেঞ্জার হতে পারে। তিনি বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী  সম্পর্কের আরেকটি ভিত্তি হতে পারে। ওয়েবিনারে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশ আশা করে যুক্তরাষ্ট্র যেন সরাসরি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে, অন্য কোনো প্রিজমের মাধ্যমে নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সাংঘর্ষিক সম্পর্ক বাংলাদেশের ওপর বিরূপ ফেলবে জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একে অপরের প্রতি বৈরী মনোভাব পোষণ করে, তবে এই দুই শক্তির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভারসাম্য রক্ষা করতে বাংলাদেশকে কঠিন অবস্থানে পড়তে হতে পারে।

বাইডেন প্রশাসন ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে জানিয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি এবং চীনের বিআরআই-এই দুই উদ্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশ জড়িত। আমরা বিশ্বাস করি কানেক্টিভিটি ও পরিবহন অবকাঠামো বৃদ্ধির মাধ্যমে উভয় উদ্যোগ আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নতিতে সুযোগ তৈরি করবে।’ ব্যবসা ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আরও মার্কিন সহযোগিতা আশা করে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, জিএসপি সুবিধার পুনর্বহাল, বাণিজ্য বহুমুখীকরণ ও মার্কিন বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আবার বহুপক্ষীয় ব্যবস্থায় ফিরে এসেছে যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ভালো সংবাদ বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তিতে ফিরে আসাটি আমাদের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।

ওয়েবিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত আল মিলার প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর