৭৩ বছরে পা দিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল জন্মদিনের ভোরে প্রবাসী কন্যা মির্জা সামারুহ ও ঢাকায় ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহর টেলিফোনে ঘুম ভেঙেছে মির্জা ফখরুলের। ১৯৪৮ সালের এই দিনে তিনি ঠাকুরগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মদিনের কোনো অনুষ্ঠান নেই। বন্ধু-বান্ধব, নেতাদের অনেকে টেলিফোন করে বিএনপি মহাসচিবকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কয়েকজন বিদেশি বন্ধুও সকালে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাকে। দুপুরে মির্জা ফখরুল গণমাধ্যমকে বলেন, ৭৩ বছরে পা রাখলাম। জন্মদিন মানে আরও ১টি বছর চলে যাওয়া। বৃদ্ধ থেকে বৃদ্ধের পথে পা বাড়ানো। বড় মেয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে টেলিফোন করেছে। হ্যাপি বার্থ ডে বলেছে। ছোট মেয়ে ঢাকায় থাকে। সেও ভোরে বাবার ঘুম ভাঙিয়েছে, উইশ করেছে। দুই কন্যা নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রাহাত আরা বেগমের সংসার। রাজধানীর উত্তরায় ভাড়া বাসায় তারা থাকেন। বড় মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মির্জা সামারুহ অস্ট্রেলিয়ায় স্বামী-সন্তান নিয়ে আছেন। সিডনির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরিয়াল ফেলোশিপ নেন। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানভেরায় ফেডারেল মেডিকেল কাউন্সিলে সিনিয়র সাইন্টিস্ট। ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ ঢাকার ধানমন্ডির ‘স্যানি ডেল’ স্কুলে শিক্ষকতা করেন। মির্জা ফখরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। তিনি ঢাকা কলেজে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। ছাত্রজীবনে ফখরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন শাখার সভাপতি এবং এস এম হল শাখারও নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরাসরি অংশ গ্রহণ করেন। ১৯৮৬ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন তিনি।