বুধবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
অফিস কর্মচারীকে মারধর

পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের অফিসে তালা দিল ডিএসসিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেতনের দাবিতে প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার ব্যক্তিগত সহকারীকে মারধরের অভিযোগে চার পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে কর্মচ্যুত ও দুজনকে শোকজ করার পর পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সংগঠন কার্যালয়ে তালা লাগিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। গতকাল ওই কার্যালয় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় ডিএসসিসি। জানা যায়, ২০ জানুয়ারি বকেয়া বেতনের দাবিতে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নগর ভবনে ডিএসসিসির প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দফতরে দেখা করতে যান। এ সময় সেখানে প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. আলী হোসেনের সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়ান পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। এ কারণে চারজনকে কর্মচ্যুত করে ডিএসসিসি। এ ছাড়া তাদের সংগঠন স্ক্যাভেঞ্জার্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি এম এ গনি ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফকে কারণ দর্শানো নোটিস দেওয়া হয়। তবে ডিএসসিসির নোটিসে মো. আলী হোসেনকে মারধরের অভিযোগ আনা হয়।

এদিকে হামলার পরদিনই পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সংগঠনের মেয়াদ শেষ হয়েছে জানিয়ে তাদের কার্যালয় ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন ডিএসসিসির সচিব মো. আকরামুজ্জামান। কিন্তু তারা চলে না যাওয়ায় গতকাল নগর ভবনের চতুর্থ তলায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সংগঠন কার্যালয় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ডিএসসিসি। বেলা ১১টার দিকে কার্যালয়ের দরজায় তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।

ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ বলেন, ‘সাধারণত মাসের বেতন ৪-৫ তারিখে হয়। কিন্তু এ মাসে বেতন দিতে দেরি হওয়ায় ২০ জানুয়ারি আমাদের কর্মীরা হিসাব বিভাগে খোঁজ নিতে যান। সেখানে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়। তবে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তার পরও চারজন কর্মীকে কর্মচ্যুত করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি সেখানে ছিলাম না, তার পরও আমি ও সভাপতিকে কারণ দর্শাও নোটিস দেওয়া হয়েছে।’ আবদুল লতিফ বলেন, ‘আমরা মেয়রের সঙ্গে দেখা করার জন্য এক সপ্তাহ ধরে চেষ্টা করছি। কিন্তু এখনো পারিনি। মেয়রের সঙ্গে দেখা হলে আশা করি বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘ইউনিয়নের নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করে মেয়রের কাছে লিখিতভাবে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মেয়র ফাইলটি সমাজসেবা বিভাগে পাঠিয়েছেন। আমরাই নির্বাচন চাচ্ছি, কিন্তু নির্বাচন না হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে আমাদের কার্যালয়ের চাবি নিয়ে নেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. আলী হোসেন বলেন, ‘সেদিন তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। কোনো মারধরের ঘটনাও ঘটেনি। তাদের কর্মচ্যুত করা হয়েছে কিনা আমি জানি না।’ বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য সংস্থার সচিব মো. আকরামুজ্জামানকে ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ খবর