বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনায়ও রাজস্ব বেড়েছে বেনাপোল কাস্টমসে

প্রবৃদ্ধি অর্জন ২৩ শতাংশ

বকুল মাহবুব, বেনাপোল

বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনাভাইরাসের মধ্যেও বেনাপোল কাস্টমসে বেড়েছে রাজস্ব। দেশের সব শুল্ক স্টেশনে যখন রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রায় ঘাটতি যাচ্ছে সেখানে বেনাপোলে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৩ শতাংশ। গত অর্থবছরের এ সময়ে রাজস্ব ঘাটতি ছিল প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। ভারত থেকে পণ্য আমদানি প্রক্রিয়া সহজতর ও শুল্কায়ন কার্যক্রমে গতি ফেরায় রাজস্ব প্রবৃদ্ধির হার রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি বন্দর কর্তৃপক্ষের। বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রায় ৩১০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়েছে। শুল্ক ফাঁকি রোধে কঠোর নজরদারির ফলে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এ সময়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য খালাস সম্পূর্ণভাবে প্রতিরোধ এবং আমদানিকৃত পণ্যের শুল্কায়ন প্রক্রিয়া যথাযথ এইচ এস কোডে করায় রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া ভারত থেকে পণ্য আমদানি প্রক্রিয়া সহজীকরণের ফলে একদিকে পণ্যের আমদানি বেড়ে গেছে অন্যদিকে রাজস্ব আদায়ে গতি ফিরেছে। বেনাপোল কাস্টম হাউসের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গেল ডিসেম্বরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। এ সময়ে অর্জিত রাজস্বের পরিমাণ ৩৭৭.৫৭ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে রাজস্ব এসেছিল ২৯১.৮২ কোটি টাকা। শুধু চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বরে রাজস্ব বেশি আদায় হয়েছে ৮৫.৭৫ কোটি টাকা। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও ফেডারেশনের সভাপতি আলহাজ মফিজুর রহমান সুজন বলেন, বেনাপোল বন্দরে আমদানিকৃত পণ্য সংরক্ষণের পর্যাপ্ত জায়গা নেই। জায়গা অধিগ্রহণ করে পণ্যাগার বাড়ানো হলে রাজস্ব ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করা যাবে।

এ ছাড়া ভারতের বনগাঁয় মেয়রের কথিত পার্কিং সিন্ডিকেট বন্ধ করা গেলে বেনাপোল বন্দরে পণ্য আমদানিতে গতি ফিরবে এবং রাজস্ব দ্বিগুণ বেড়ে যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর